ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবজির বাজারে স্বস্তি 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
সবজির বাজারে স্বস্তি  দাম কমতে শুরু করেছে সবজির-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এসে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। সবজির দাম কমার ইঙ্গিত গত সপ্তাহেই দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি সবজিতে ৫-১০ টাকা করে দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা- বিক্রেতারা। 

অন্যদিকে, স্থির রয়েছে চাল ও পেঁয়াজের দাম। পণ্য দুইটির দাম এখনও ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।

এখনই চাল ও পেঁয়াজের দাম কমছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
 
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।    

সর্বশেষ সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি বেগুন গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা, সিম ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা, পেঁপে ৫ টাকা কমে ২০ টাকা, মুলা ৫ টাকা কমে ১৫ টাকা, টমেটো ১০ টাকা কমে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গত সপ্তাহের দামে কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, লাল শাক, পালং শাক ও ডাটা শাক দুই আঁটি ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
সবজির দাম সম্পর্কে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের খুচরা বিক্রেতা জসিম বাংলানিউজকে বলেন, পরিবহন সঙ্কট না থাকায় সবজির দাম এখন কিছুটা কমেছে। তবে দাম এখনই স্বাভাবিক হবে না। নতুন আবাদ করা সবজি বাজারে না আসলে দাম স্বাভাবিক হবে না। কারণ কুয়াশায় অনেক সবজি নষ্ট হয়েছে।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সবজি বাজারের একটু সামনে এগোতেই দেখা যায় পেঁয়াজের বাজার। মার্কেটের খুচরা ব্যবসায়ী আবুল ক্রেতা আকর্ষণের জন্য হাঁক ছেড়ে ডাকছেন, আসনে ভাই আসেন দেশি-বিদেশি এক দাম ৬০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ নিলেও ৬০ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজও ৬০ টাকা।

আবুল বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজের দামের মতিগতি আমরা কিছুই বুঝছি না। সামনে দাম কমার সম্ভাবনাও দেখছি না। আবার হঠাৎ করে দাম কমেও যেতে পারে, বলা যায় না।  

চালের বাজার দরে আগের মতোই অস্থিরতা বিরাজমান। চালের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, কেজি প্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায় ও পারিজা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায়।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে বাজার করতে আসা ক্রেতা সুজন বাংলানিউজকে বলেন, সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু চাল ও পেঁয়াজের বাজার দরের অবস্থা খুবই খারাপ। এতো দাম দিয়ে চাল পেঁয়াজ কিনতে কিনতে পকেট খালি হচ্ছে।  
 
অন্যদিকে সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০-১২০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া অপরিবর্তীত রয়েছে মাছ ও মাংসের দাম।
 
মাছের সর্বশেষ বাজার খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
 
এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪০০-৪৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
এমএসি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।