ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘নিজস্ব ব্র্যান্ড নিয়ে এগিয়ে যেতে চাচ্ছি’

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
‘নিজস্ব ব্র্যান্ড নিয়ে এগিয়ে যেতে চাচ্ছি’ বেঙ্গল শু’র স্টলে দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাদমান শাকিব; ছবি- শাকিল

ঢাকা: ‘ইউরোপের বাজারে আমরা আছি। এখন টার্গেট আমেরিকার বাজারে যাওয়া। আমেরিকায় আমাদের ফুটওয়্যার আগেও গেছে; সেটা ছিলো সাবকন্ট্রাক্ট। এখন নিজস্ব ব্র্যান্ড নিয়েই আমরা যাচ্ছি। সেটা সম্ভবত খুব শিগগিরই’।

বলছিলেন বেঙ্গল শু ইন্ড্রাস্ট্রিজের -এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাদমান শাকিব চৌধুরী। চামড়া শিল্পের সবচেয়ে বড় আয়োজন লেদারটেক শো-তে অংশ নেয়া দেশীয় উদ্যোক্তাদের একজন তিনি।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলছে দেশের চামড়াজাত পণ্যের সবচেয়ে বড় আয়োজন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডশো অন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার মেশিনারি, কম্পোনেন্টস, কেমিক্যালস অ্যান্ড অ্যাক্সেসরিজ সংক্ষেপে  ‘লেদারটেকশো’র প্রদর্শনী।

সাদমান শাকিব- এর ‘বেঙ্গল শু’ ফুটওয়্যার শিল্পে দেশের নতুন। তারচেয়ে নতুন তিনি। সদ্য পড়ালেখা শেষ করে নিজেদের পারিবারিক ব্যবসায় সম্প্রসারণে মনোযোগী সাদমান।

তবে বয়সে নবীন হলেও এটা সমস্যা নয় ‘বিজনেস ম্যানেজমেন্ট’ নিয়ে লন্ডন থেকে লেখাপড়া করা সাদমান সাকিবের।

ব্যবসা শুরু হয়েছিলো তার দাদার হাত ধরে ‘বেঙ্গল লেদার কমপ্লেক্স’ দিয়ে। এটা দেখে এসেছেন ছোটবেলা থেকে। এখন তিনি নিজেই বায়ারদের সঙ্গে কথা বলছেন। প্রোডাক্ট কোয়ালিটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন।

সাদমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘শুরুটা ছিলো ‘বেঙ্গল লেদার কমপ্লেক্স’ দিয়ে। আর ‘বেঙ্গল শু ইন্ড্রাস্ট্রিজ’ তাদের সিস্টার কনসার্ন। ‘বেঙ্গল লেদার’ দেশে লেদারের অন্যতম বড় যোগানদাতা। যেটা শুরু করেছিলেন তার দাদা। সে রকম বড় পর্যায়ে ‘বেঙ্গল শো ইন্ড্রাটিজ’কে নিতে চান সাদমান শাকিব।

লেদারটেকশোতে অংশে নেয়াও সে লক্ষ নিয়ে। তার মতো দেশীয় আরও অনেক ফুটওয়্যার প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে লেদারটেক-এ। লেদারটেকশো তে অংশ নেয়া বেঙ্গল শু’র স্টলে প্রদর্শনীর জন্য রাখা জুতা ; ছবি- শাকিল চামড়াজাত পণ্যের এই প্রদর্শনীকে বিদেশের বাজারে প্রবেশের একটি সুযোগ হিসেবেই দেখছেন তারা। দেশে তৈরি হওয়া ভালো মানের জুতা বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্য তাদের সবার।  

সাদমান বলছিলেন, ‘ভালো কোয়ালিটি ও বিপুল চাহিদার ফুটওয়্যার পণ্য তৈরির সক্ষমতা রয়েছে আমাদের। ২০১১ থেকে এ পর্যন্ত ১ মিলিয়নের বেশি জুতা বিদেশে পাঠিয়েছি। প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ লাখ জুতা তৈরি হয় আমাদের ফ্যাক্টরিতে। এ বছর এখন পর্যন্ত ৫ লাখের বেশি জুতা শিপমেন্ট হয়েছে। ’

সাদমান ফুটওয়্যার খাতের দেশীয় এ  আয়োজনকে বেশ সম্ভাবনাময় ভাবছেন। কারণ এখানে বায়ারদের দেখা মিলবে। নতুন অর্ডার পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

‘অন্যদের চেয়ে কোয়ালিটি যেখানে বেটার, সেখানে আমরা দ্রুত বড় মার্কেট ধরতে পারবো-এমন বিশ্বাস সাদমানের।

তিনি বলেন, ‘কোয়ালিটি দেখেই বায়াররা আসলে আগ্রহী হয়। আমাদের ডিজাইন অনেক আধুনিক এবং মার্কেট যা চায় সে রকম জুতা সরবরাহ আমাদের লক্ষ থাকে। ’

বেঙ্গল থেকে বিদেশে অক্সফোর্ড, ডার্বি, স্পোর্টস সহ ৭ ধরণের জুতা যাচ্ছে বিদেশে। এর মধ্যে ডার্বি ‍জুতার চাহিদা বেশি।

সাদমান বলেন, ২৮ বছর আগে ১৯৮৯ সালে ‍তাদের ‘বেঙ্গল লেদার কমপ্লেক্স ব্যবসা শুরু হয়েছিলো। দাদা বাবা চাচার হাত ধরে চলেছে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে তাদের পরিবারে তিনি  ‘বেঙ্গল শ’ বড় করতে চাচ্ছেন। ১৫ একর জায়গা জুড়ে নোয়াখালীতে ‘বেঙ্গল শো’ ফ্যাক্টরি। যেখানে দেড় হাজারের মতো লোক কাজ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এসএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।