ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পায়রা তীরে হচ্ছে শেখ হাসিনা সেনানিবাস

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
পায়রা তীরে হচ্ছে শেখ হাসিনা সেনানিবাস

ঢাকা: পায়রা নদীর লেবুখালী তীরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে হচ্ছে নতুন সেনানিবাস। সরকার ঘোষিত ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ এর আওতায় আন্তর্জাতিক মানের সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে স্থাপিত হতে যাচ্ছে এটি।

প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা সেনানিবাসের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা এবং বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিহতে সক্ষম প্রশিক্ষিত ও পেশাদার সেনাবাহিনীর কলেবর বাড়বে। পাশাপাশি সমুদ্র উপকূলে জাতীয় প্রতিরক্ষা সন্নিহিত করা হবে।

কৌশলগত দিক থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সম্ভাব্য যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্রুত মোকাবেলাও সহজ হবে।
 
‘শেখ হাসিনা সেনানিবাস, বরিশাল স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় ৯৬৫ একর জমিতে নির্মিত হবে সেনানিবাসটি। ১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চলতি সময় থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের উপ-প্রধান সারোয়ার আলম বাংলানিউজকে জানান, আগামী মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনে মোট ১০টি প্রকল্পের তালিকা করা হয়েছে। ওই তালিকার এক নম্বরে আছে প্রকল্পটি।   একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, প্রকল্পটির আওতায় ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৫৯৮ ঘনমিটার মাটি ভরাট/ভূমি উন্নয়ন এবং ৩৫ হাজার ৩৪২ বর্গমিটার আয়তনের আটটি অফিস ভবন, ২ লাখ ২৩ হাজার ২৯৪ বর্গমিটার আয়তনের ১২টি আবাসিক ভবন ও নয়টি অন্য ভবন ও অবকাঠামো নির্মিত হবে। অফিস ভবনগুলো সর্বোচ্চ চারতলা ও আবাসিক ভবনগুলো সর্বোচ্চ ১৪ তলা হবে। প্রকল্পের আওতায় আরও থাকছে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৪৯ বর্গমিটার বিটুমিনাস রোড ও ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৪০ বর্গমিটার সারফেস ড্রেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জিন্নাতুন নাহার শাহানা বাংলানিউজকে বলেন, ‘গুরুত্ব বিবেচনা করেই দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চল অনেকটাই অরক্ষিত বলা চলে। এ অঞ্চলে প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে’।  
 
‘দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ উপকূলীয় এলাকা বরিশাল-পটুয়াখালীতে কোনো সেনানিবাস নেই। অথচ এ অঞ্চলটি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও কৌশলগত কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও দুর্যোগপূর্ণ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরের যশোর সেনানিবাসের সহায়তা নিতে হয়। এসব বিবেচনা করেই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে’।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।