ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিধি লঙ্ঘন করেই কাবো এয়ারের সঙ্গে বিমানের চুক্তি হয়

ইশতিয়াক হুসাইন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১০
বিধি লঙ্ঘন করেই কাবো এয়ারের সঙ্গে বিমানের চুক্তি হয়

ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নীতিমালা ভঙ্গ করেই কাবো এয়ারলাইন্সের চুক্তি বারবার নবায়ন করা হয়েছে।
২০০৮ সালের হজ মওসুমে বিমানের সঙ্গে নাইজেরিয়াভিত্তিক এ এয়ারলাইন্সের করা চুক্তিপত্রে তা নবায়ন করার কোনো বিধানই রাখা হয়নি।

অথচ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এ পর্যন্ত তিন দফায় তা নবায়ন করা হয়েছে।    

সম্প্রতি কাবো এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ নতুন করে লিজ নেওয়াকে কেন্দ্র করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটি চেয়ারম্যানের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করে।  

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে কোনো দরপত্র ছাড়াই বিমান কাবো এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি ভাড়া করে। বিমান কর্তৃপক্ষ এরপর ২০০৯ সালে প্রথমে ৬ মাস ও পরবর্তীতে ২ মাস করে দুই দফায় কাবোর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করে।
 
বিমানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘পাবলিক প্রকিয়োরমেন্ট রুলস (পিপিআরসি) অনুযায়ী চুক্তিতে উল্লেখ না থাকলে উড়োজাহাজ লিজের মেয়াদ নবায়ন করা নিয়ম ভঙ্গের শামিল। ’

দ্বিতীয় দফায় লিজের মেয়াদ বৃদ্ধি করার সময় পিপিআরসি অনুযায়ী নতুন দরপত্র আহবান করা প্রয়োজন ছিলো উল্লেক করে তিনি বলেন, ‘ দরপত্র আহ্বান না করেই বিমান দুই মাস করে দুই দফায় লিজের মেয়াদ বাড়ায়। আর সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ও বিমানের লিজের মেয়াদ বৃদ্ধিতে অনুমোদন দেয়। ’   

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিমানের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব:) জামালা উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘যে জিনিসটি দরপত্রের মাধ্যমেই হয়নি সেটি নতুন করে কেন আবার দরপত্রের প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা হবে। এখানে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। বরং মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সবকিছু নিয়মের মধ্য থেকেই কাবো এয়ারের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ’

তবে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জিএম কাদের বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, “আমরা যখনই বিষয়টি জানতে পেরেছি তখন আর এর লিজের মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। ’’  

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের রুলস অনুযায়ীও ২০ বছরের অধিক পুরনো এই উড়োজাহাজ বাংলাদেশে চলতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, বিমানের প্রক্রিয়া মেনে চললে এই চুক্তি নবায়নের কোনো সুযোগ নেই। ’

পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নতুন করে দরপত্রের মাধ্যমে লিজের মেয়াদ বাড়ানো উচিত ছিল বলে মত দিয়ে তিনি বলেন, ‘এতে বিমানের সাশ্রয় হতো। ’  

গত ৩০ জুন কাবো এয়ারের সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর উড়োজাহাজটি প্রায় একমাস হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পড়ে থাকে।

গত ২৯ জুলাই বিমানটি উড়োজাহাজটি জেদ্দা হয়ে নাইজেরিয়া চলে যায়।

বাংলাদেশ সময় ১৬৩৫ আগস্ট ২২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।