ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

সাতক্ষীরায় মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষে বিপ্লব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
সাতক্ষীরায় মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষে বিপ্লব ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় মৎস্য ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষে যেন বিপ্লব সৃষ্টি হয়েছে! এ পদ্ধতিতে লাউ, কুমড়া ও করলার (উচ্ছে) বাম্পার ফলনে দেখা দিয়েছে সম্ভাবনার নবদিগন্ত।

এতে একই জমির বহু ব্যবহারে কৃষকের আয় যেমন কয়েক গুণ বাড়ছে, তেমনি দেশের সবজির চাহিদা মেটাতেও রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের মিঠাবাড়ি বিলে দেখা গেছে, শত শত বিঘা জমির মৎস্য ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে লাউ, কুমড়া ও করলা চাষ করা হয়েছে।

মাচায় ঝুলছে হাজার হাজার করলা, শত শত লাউ ও কুমড়া। একই সঙ্গে ঘেরের বেড়িতে লাগানো হয়েছে পুঁইশাক ও ঢেড়স।
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমমিঠাবাড়ির কৃষক মমিনুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, তিনি তার ছয় বিঘা জমির ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে লাউ, কুমড়া ও করলা চাষ করেছেন। মাঘ মাস পর্যন্ত এভাবেই মাছের পাশাপাশি সবজি উৎপাদন চলবে। তারপর পানি শুকিয়ে গেলে রোপন করা হবে ধান।

তিনি জানান, তার ছয় বিঘা জমির ঘেরে নেট, বাঁশ ও কট সুতা দিয়ে মাচা তৈরিতে আট হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখানে উৎপাদিত সবজি বিক্রির আয় লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। আরও হবে। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম১০ বছর ধরে মাচা পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনকারী মমিনুর রহমান আরও বলেন, মাচা তৈরির খরচ প্রতিবছর হয় না। দুই-তিন বছর পরপর মাচা তৈরি করতে হয়। এতে লাভের পরিমাণ বাড়ে।

শুধু মমিনুর রহমানের ঘের নয়, পার্শ্ববর্তী কৃষক বাক্কার সরদার, আজিবার মোড়ল, জাহিদ হোসেনের ঘেরসহ যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। প্রত্যেকের ঘেরের মাচায় ঝুলছে করলা, লাউ ও কুমড়া।

তবে, শুধু তালা উপজেলা নয়, জেলার কালিগঞ্জ, কলারোয়া, দেবহাটা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলায়ও ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে চাষাবাদ কৃষিতে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে।

এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, সাতক্ষীরায় যে পরিমাণ সবজি উৎপাদন হয়, তার ৩০ শতাংশ আসে ঘেরের আইলে অথবা ঘেরের মাচা থেকে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় চলে যায়। এছাড়া লাভজনক হওয়ায় মাচা পদ্ধতিতে চাষাবাদ দিন দিন বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।