ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পুকুর খননে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
পুকুর খননে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা: সারা দেশে পুকুর খননে স্বচ্ছতা আনতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে পুকুর খননে অনিয়মের বিষয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

পুকুর খননে যেন অনিয়ম না হয়- সেজন্য বিষয়টির  দেখভাল করতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
 
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এসব নির্দেশনা দেন তিনি।

  মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা।

সভায় মোট ১০ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এম মান্নান এ তথ্য জানান।
 
সভায় অনুমোদিত ‘সারা দেশে পুকুর, খাল উন্নয়ন প্রকল্প’ প্রকল্পের আওতায় পুকুর/দিঘি/খালের জেলাওয়ারী তালিকা তৈরি করে সেগুলো খননের প্রাথমিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।   স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর মাঠ পর্যায় থেকে পুকুর/দিঘি ও খাস খালের প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
 
তালিকায় সারা দেশের মোট ১৪ হাজার ৯১০টি খাসপুকুর,  ৩ হাজার ৪৯৩টি দিঘি এবং ৬ হাজার ৫৩৬টি খাসখালের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৫৬টি জেলার ৯২১টি খাসখাল পুনঃখনন করা হবে। এর দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৩৭২ কিলোমিটার।   এছাড়া ১ হাজার ৬১১টি পুকুর-দিঘি খনন করা হবে। পুকুরগুলোর আয়তন প্রায়  ১ হাজার ৭০২ একর।

সারা দেশে পুকুর খননে ১ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে একনেক সভায়।

১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ –মায়ানমার মৈত্রী সড়ক বর্ডার রোড নির্মাণ’ প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয়। বাংলাদেশের সঙ্গে মায়ানমারসহ অন্যান্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোই প্রকল্পটির লক্ষ্য। বিশেষ করে চীন ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।
 
৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘৬৪ জেলায় সমাজসেবা কমপ্লেক্স নির্মাণ’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত, দরিদ্রতম ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সেবা দিতে কমপ্লেক্সগুলো নির্মাণ করবে সমাজসেবা অধিদফতর।
 
অনুমোদিত ‘ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের বেগমগঞ্জ থেকে সোনাপুর পর্যন্ত চারলেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৯৬২ কোটি টাকা। সোনাপুর থেকে  রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং অন্যান্য জেলায় যোগাযোগের জন্য সড়কটি ব্যবহার করা হবে।

২৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘নলকা-সিরাজগঞ্জ-সয়দাবাদ আঞ্চলিক মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ শহর অংশে ফোরলেন নির্মাণ’ প্রকল্পটিও অনুমোদন পায় একনেকে।
 
৬ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প-৩য় পর্যায় (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।   ‘কুষ্টিয়া শহর বাইপাস সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা।   ‘রাজশাহী মহানগরীর রাজশাহী-নওগাঁ প্রধান সড়ক থেকে মোহনপুর-রাজশাহী-নাটোর সড়ক পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম সড়ক নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৮২ কোটি টাকা।
 
বাংলাদেশ সময়:  ১৭০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।