ঢাকা: ক্ষুদ্রঋণ দেশে দারিদ্র্য দূর করেনি, বরং চড়া সুদে ঋণ দিয়ে দারিদ্র্যকে আরও শোষণ করছে। এ মন্তব্য করেছেন পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জামান।
তিনি জানিয়েছেন, সরকার ক্ষুদ্রঋণকে মানবিক করার উদ্যোগ নিয়েছে। খুব শিগগিরই ক্ষুদ্র ঋণের সুদের হার বেঁধে দেওয়া হবে।
শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ভিশন ২০২১ ও বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বেসরকারি সংস্থা ‘সোসাইটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন’ (সোডাক) এর আয়োজন করে।
সরকারের ‘ভিশন ২০২১’ বাস্তবায়নে সুদখোর, ঘুষখোর, ফটকাবাজারি ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান ড. কাজী খলিকুজ্জমান।
আলোচনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, সাংসদ কবি রুবী রহমান প্রমুখ।
মূল বক্তব্যে খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাকশালে শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার বিপ্লবাত্মক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। সমবায়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। আগস্ট ট্রাজেডির পর বঙ্গবন্ধুর সকল কল্যাণমূলক ও বিপ্লবাত্মক কর্মসূচি বাতিল করা হয়। অথচ সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতিকে যে বিশাল ক্ষমতা প্রদান করা হয়Ñ তা বাতিল করা হয়নি। পরে ক্ষমতাদখলকারী জেনারেল জিয়া ও এরশাদ চতুর্থ সংশোধনীর পুরো সুবিধাই ভোগ করেছেন। ’
ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘রাজনীতি থেকে অর্থনীতিকে কখনোই আলাদা করে দেখেননি বঙ্গবন্ধু। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তার প্রধান লক্ষ্য। অনেকে বাকশাল গঠনের নিন্দা করেন। কিন্তু বাকশাল কখনোই একদলীয় ব্যবস্থা ছিল না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তখন বাকশাল গঠনের প্রয়োজন ছিল। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, ২১ আগস্ট, ২০১০