ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরি বন্ধ ঘোষণার দ্বিতীয় দিনেও বিক্ষোভ

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১০
দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরি বন্ধ ঘোষণার দ্বিতীয় দিনেও বিক্ষোভ

খুলনা: খুলনার রূপসা শিল্পাঞ্চলের দাদা দিয়াশলাই কারখানার সকল শ্রমিককে অব্যাহতি দিয়ে মিল বন্ধ ঘোষণা করায় শ্রমিরা আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে। পাওনা পরিশোধের পাশাপাশি মিলটি পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়েছেন তারা।



দাদা দিয়াশলাই কারখানার শ্রমিক সিবিএ নেতা এইচএম শাহাদাত বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, মিলের পরিস্থিতি নিয়ে শিল্প মন্ত্রী ও শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। মিলটি চালুর ব্যাপারে আমাদেরকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষও মিলটি অচিরেই চালু করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। শ্রমিকদের পাওনাও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিশোধ করা হবে বলেও তিনি জানান।

সিবিএ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন ,  গত ১০ মাস যাবত মিলের শ্রমিকরা বেতন ভাতা পায় না। মিলের কাছে শ্রমিকদের প্রায় ৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। কিন্তু তারা সেই পাওনা না মিটিয়েই পূর্ব ঘোষণা ছাড়া শ্রমিকদের টার্মিনেট করেছে। তাই পাওনার দাবিতে আন্দোলন করা ছাড়া উপায় নেই ।

এদিকে মিল সূত্র বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানায়, দীর্ঘদিন যাবত মিলটিতে অব্যাহত লোকসান হচ্ছিল। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখ থেকে উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও অস্থায়ী শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরি পরিশোধ করা হচ্ছিল। ওই সূত্রটি মিল শ্রমিকদের বেতন বকেয়া থাকার কথা স্বীকার করে বলেন খুব দ্রুত তাদের পাওনাও মিটিয়ে দেওয়া হবে।

খুলনা সদর থানা অফিসার ইন-চার্জ(ওসি) মুনীর উল গিয়াস বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, দাদা দিয়াশলাই কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ মিল বন্ধ ঘোষণা করেছে। মিলটিতে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কোন রকম বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় এ জন্য ম্যাচ ফ্যাক্টরি এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবারও  শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

প্রসঙ্গতঃ সুন্দরবনের গেরয়া কাঠের ওপর নির্ভর করে দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টারিটি ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। মিলটিতে জমির পরিমাণ ১৮ একর। স্থায়ী শ্রমিক সংখ্যা ৫ শতাধিক। দৈনিক মজুরি ভিত্তিক শ্রমিক সংখ্যা ২৫০ জন। এই মিলটি সরকারের পক্ষ থেকে ১৯৮৪ সালে সুইডিশ কোম্পানিকে ইজারা দেওয়া হয়। সুইডিশ কোম্পানির কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ১৯৯৩ সাল থেকে ভাইয়া গ্রুপ  মিলটি চালিয়ে আসছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।