ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘দেশের সবচেয়ে সফল বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১১
‘দেশের সবচেয়ে সফল বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান’

ঢাকা: এফবিসিসিআই সভাপতি একে আজাদ বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানকে স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে সফল মন্ত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, তিনি একজন সফল বাণিজ্যমন্ত্রী।

ভারতের বাজারে বিনাশুল্কে ৪৬টি পণ্য প্রবেশের সুযোগ আদায় করে বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে সফলতা এনেছেন স্বাধীনতার পর আর কেউ তা পারেননি, বলেন একে আজাদ
 
শনিবার ঢাকা রিজেন্সি হোটেলে কুয়েত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান।  
 
এ কে আজাদ বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি দিন দিন বেড়েই চলছি। এই ঘাটতি কমানোর জন্য কাজ করেও আমরা সফল হয়নি। কিন্তু বিগত এক বছরে ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ৬৮ শতাংশ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সফলতা নিয়ে বিরোধীতাকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা বলছেন এই সফরে আমরা কিছুই পেলাম না- তারা সঠিক কথা বলছেন না। দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা বাংলাদেশীদের জন্য ২৪ ঘন্টা খুলে দেওয়া হয়েছে, বিনাশুল্কে ৪৬টি পণ্য ভারতের বাজারে প্রবেশের অনুমোদন পেয়েছে, যা আমাদের বড় প্রাপ্তি।    
 
এফবিসিসিআই সভাপতি এ সময় সরকারি দলের কাছে বিরোধী দলে গেলে হরতাল না করার ঘোষণা দেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, ব্যবসায়ী বান্ধব পরিবেশ পেলে আগামী দুই বছর পর দেশে ৩ লাখ হাজার কোটি টাকার যে বাজেট দেওয়া হবে তার ৬০ শতাংশ অর্থ রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে যোগান দেবে ব্যবসায়ীরা।
 
এর পরপরই প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেও বিনাশুল্কে ৪৬টি ভারতের বাজারে প্রবেশের অনুমোদনকে একটি বিশাল অর্জন হিসেবে উল্লেখ করেন।

কুয়েত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিকে নাম সর্বস্ব সংগঠন যাতে না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, পকেট সংগঠন নয়, একটি কার্যকর সংগঠন হিসেবে আপনাদের কাজ করতে হবে। কুয়েতের সঙ্গে ব্যবসা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। আগামীতে যাতে কুয়েতে রপ্তানি কয়েকগুন বাড়ে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
 
কুয়েত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হাবিবুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাড. তালুকদার মো: ইউনুস এমপি, কুয়েত আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক হোসেন।

অনুষ্ঠানে গত ৬ সেপ্টেম্বর কুয়েত-বাংলাদেশ চেম্বারের নির্বাচিত ২৭ সদস্যে কমিটির নেতাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল মতিন ভূঁইয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad