ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

কম্পিউটার যন্ত্রাংশের ওপর থেকে ভ্যাট মওকুফের দাবি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
কম্পিউটার যন্ত্রাংশের ওপর থেকে ভ্যাট মওকুফের দাবি এনবিআর’র সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় কর্মকর্তারা-ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কম্পিউটার যন্ত্রাংশের ওপর থেকে ভ্যাট মওকুফ চেয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি। পাশাপাশি কম্পিউটার যন্ত্রাংশ আমদানি ও বিক্রির ওপর থেকেও ভ্যাট অব্যাহতি চেয়েছে তারা।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে '১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়।

 

অটোমোবাইলস ও ট্রান্সপোর্ট, কম্পিউটার, আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ, ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে এই প্রাক-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

 

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির পক্ষ থেকে জহিরুল ইসলাম বলেন, ২৮ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটরের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে।

 

কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও সংশ্লিষ্ট সব ধরনের হার্ডওয়্যার সামগ্রী আমদানি, পরবর্তী পর্যায়ে সরবরাহ বা বিক্রির ওপর প্রযোজ্য মূসক হতে অব্যাহতি দিতে হবে। এছাড়া কম্পিউটার যন্ত্রাংশের ওপর প্রদত্ত মূসক অব্যাহতি সুবিধা ২০২৪ সাল পর্যন্ত বহাল রাখারও আহ্বান জানান তিনি।

 

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্বে ১৯.৫ ইঞ্চি পরিমাপের মনিটর কোনো প্রস্তুতকারক উৎপাদন করে না। অদূর ভবিষ্যতে ২২ ইঞ্চির নিচে কোনো মনিটর উৎপাদন হবে না। তাই কম্পিউটার মনিটরের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৮ ইঞ্চি পর্যন্ত মনিটরের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করা যেতে পারে।

 

সভায় মোস্তফা জব্বার বলেন, বর্তমানে দেশে দুই কোটি ৩৩ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী আছে। এর মধ্যে শুধু ঢাকাতেই আছে  দুই কোটি ২০ লাখ। এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারীদের ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। এটা মওকুফ করতে হবে। কেননা উন্নয়নের মহাসড়ক যদি ভাঙাচোরা থাকে তাহলে কিভাবে দেশের উন্নয়ন হবে।

 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বলেন, ৯৫ ভাগ পরিবহন সেক্টর বেসরকারিভাবে চলছে। এরমধ্যে সংগঠনটিতে রয়েছে তিন লাখ সদস্য।

 

অপরদিকে পরিবহনে সবচেয়ে বেশি ব্যয় টায়ারে। আর দেশে যে ছোট টায়ার তৈরি হয় তাতে পরিবহন সেক্টর চালানো সম্ভব নয়। তাই পরিবহন সেক্টরের কথা মাথায় রেখে টায়ারের ওপর থেকে ভ্যাট কমানোর দাবি করেন তিনি।

 

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, নতুন ভ্যাট আইন হতাশা নয় বরং আশা যোগাবে। সবাইকে সচেতন করেই নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা হবে। ব্যবসায়ীদের আশা যেন ভঙ্গ না হয় সেদিকে বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। এছাড়া নতুন ভ্যাট আইনে শিল্প ও কর্মসংস্থানের দিকে নজর রাখা হবে বলেও তিনি জানান।

 

প্রাক-বাজেট সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সদস্য (ভ্যাট) ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, সদস্য (করনীতি) ইকবাল পারভেজ ও সদস্য (শুল্কনীতি) লুৎফর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯,২০১৭

এসজে/এএটি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।