ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

আগামী সপ্তাহেই খুচরা পর্যায়ে চিনি ও ভোজ্য তেলের মূল্য পুনর্নির্ধারণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১১
আগামী সপ্তাহেই খুচরা পর্যায়ে চিনি ও ভোজ্য তেলের মূল্য পুনর্নির্ধারণ

ঢাকা: খুচরা পর্যায়ে চিনি ও ভোজ্য তেলের মূল্য আগামী সপ্তাহে পুনর্নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মোহাম্মদ গোলাম হোসেন।  

বৃহস্পতিবার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্যতেল ও চিনি আমদানিকারক, পরিশোধক ও উৎপাদকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

শুরুর দিকে বাণিজ্য মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও শেষ হওয়ার আগেই তিনি চলে যান।

বাণিজ্য সচিব বলেন, ভোজ্য তেল ও চিনির মূল্য নির্ধারণী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান মিল মালিকদের সঙ্গে বসে দাম পুনর্নির্ধারণ করবেন। এ লক্ষ্যে আগামী সোমবার ভোজ্য তেল ও চিনির মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক আহবান করা হয়েছে। ওই বৈঠকে পরিবেশক নিয়োগের সর্বশেষ অগ্রগতি এবং এ সংক্রান্ত বিদ্যমান কিছু সমস্যা সমাধানে করণীয় বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগে রমজান উপলক্ষে গত জুলাইয়ের শেষ দিকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনির মূল্য সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা এবং ভোজ্য তেল লিটার প্রতি ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।  

‘চিনির ক্ষেত্রে দুয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া রমজানে দেশের সর্বত্র নির্ধারিত মূল্যেই পণ্য দুটি বিক্রি হয়েছে’ এমন দাবি করে বাণিজ্য সচিব বলেন, বর্তমানেও এই মূল্য বহাল রয়েছে।

‘আগামীতে খুচরা পর্যায়ে চিনি ও ভোজ্য তেলের মূল্য বাড়বে না কমবে’ Ñ এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এটা বলা সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক বাজার দর, আমদানি ও উৎপাদন ব্যয়ের নিরিখেই পণ্য দু’টির মূল্য নির্ধারণ করা হবে।

প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে চিনি ও ভোজ্য তেলের মজুদ যথেষ্ট এবং আগামী ঈদুল আজহা-কে কেন্দ্র করে বাজারে এগুলোর কোনো সঙ্কট হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে দেড় লাখ টন ভোজ্যতেল মজুদ রয়েছে এবং ৫ লাখ টন চিনি আমদানি পাইপ লাইনে রয়েছে।    

তিনি বলেন, রমজান মাসে সাময়িকভাবে কর্পোরেট গ্রাহকদের কাছে চিনি বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছিল। এখন সেটা তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে কর্পোরেট গ্রাহকরা যে কোনো চিনি মিল থেকে উৎপাদিত চিনির ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ক্রয় করতে পারবে।
পরিবেশক নিয়োগ সম্পর্কে বাণিজ্য সচিব বলেন, তিন মাসও হয়নি পরিবেশক পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়ে গেছে। এই সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করা যায় সেটা নিয়ে আগামী সোমবারের বৈঠকে আলোচনা হবে।

একই সঙ্গে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পরিবেশক নিয়োগ প্রদান এবং পরিবেশকদের অন্য পণ্য নিতে বাধ্য না করার জন্য মিল মালিকদের প্রতি আহবান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, ০৮ সেপ্টেম্বর , ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।