ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

কৃষি

কুড়িগ্রামে উচ্চ পুষ্টিগুণের কমলা রঙের মিষ্টি আলু চাষে সাফল্য

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
কুড়িগ্রামে উচ্চ পুষ্টিগুণের কমলা রঙের মিষ্টি আলু চাষে সাফল্য কুড়িগ্রামে উচ্চ পুষ্টিগুণের কমলা রঙের মিষ্টি আলু চাষে সাফল্য-ছবি: বাংলানিউজ

কুড়িগ্রাম: ভিটামিন ও উচ্চমানের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কমলা রঙের বারি মিষ্টি আলু চাষ করে সফল হচ্ছেন কুড়িগ্রামের দুর্গম চরাঞ্চলের চাষিরা।

কুড়িগ্রাম পৌরসভা, মোগলবাসা ও পাঁচগাছী ইউনিয়নের চরের ৫০ একর জমিতে ১২০০ কৃষক বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত কমলা রঙের এই মিষ্টি আলু চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চরকৃষ্ণপুরে কমলা রং মিষ্টি আলুর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় প্রত্যন্ত এলাকার চাষিদের সামনে ভিটামিন ও উচ্চ পুষ্টি সমৃদ্ধ কমলা রঙের মিষ্টি আলু দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রদর্শন ও খাওয়ানো হয়।

এসব খাবারের মধ্যে ছিল বিরিয়ানি, খিচুড়ি, কেক, পাউরুটি, বিস্কুট, নুডুলস, চিপস, বিভিন্ন ধরনের পিঠা, পায়েস, পারাটা, রুটি, সেমাই, ঝুড়ি ইত্যাদি।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. দেলওয়ার হোসেন।

কৃষিবিদ মো. গোলাম আজমের সভাপতিত্বে এসময় অনেকের মধ্যে কৃষিবিদ মহিদুল হাসান মানিক, মোস্তাফিজুর রহমান, মারুফা ইফতেখার সিদ্দিকা ও আমিনা খাতুন বক্তব্য রাখেন। কুড়িগ্রামে উচ্চ পুষ্টিগুণের কমলা রঙের মিষ্টি আলু চাষে সাফল্য-ছবি: বাংলানিউজএসময় চরকৃষ্ণপুরের মাঝের চর এলাকার আলু চাষি ফুল মালা, বেবী খাতুন, নূর ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, নিজেদের আবাদি জমি না থাকায় অন্যের জমি বর্গা নিয়ে তিন শতাংশ করে জমিতে কমলা রঙের মিষ্টি আলু চাষ করেছিলেন তারা। তিন শতাংশ জমিতে একেক জন আলু পেয়েছেন নয় থেকে ১১ মণ করে। শ্রম ও চাষে খরচ হয়েছে ১২০০ টাকা। ২০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করে পেয়েছেন ২০ থেকে ২২ হাজার করে টাকা।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, বারি মিষ্টি আলু-৪ ও ৮ এ উচ্চমানের ভিটামিন ‘এ’ সহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। উচ্চ ফলনশীল এ আলু খেয়ে কৃষক নিজ পরিবারের পুষ্টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি অন্যান্য জেলার পুষ্টি চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। চরাঞ্চলগুলোতে মিষ্টি আলু চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন চাষিরা।

ঢাকার আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্রের সেক্টর লিডার ড. শফিউর রহমান সোহাগ বাংলানিউজকে জানান, দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে কুড়িগ্রামসহ দেশের ১২টি জেলায় উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ কমলা রঙের মিষ্টি আলু চাষ করা হচ্ছে। এতে কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি দেশের মানুষের পুষ্টি নিশ্চিত হবে। এ আলু শিশুদের মেধা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য, কুড়িগ্রাম জেলার দুই শতাধিক চরাঞ্চলের হাজার হাজার হেক্টর বালুময় জমিতে উচ্চ পুষ্টি সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে চরাঞ্চলের কৃষকরা। এ লক্ষ্যে মিষ্টি আলু উৎপাদন ও বাজারজাত নিশ্চিত করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ইউনাইটেড কিংডম এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট’র (ইউকেআইডি) আর্থিক সহায়তায় কাজ করছে আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র ও ব্র্যাক-বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।