চট্টগ্রাম: শতভাগ রফতানিমুখি তৈরি পোশাক শিল্পের আমদানি পণ্য দ্রুত খালাসের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গ্রীন চ্যানেল সুবিধার ঘোষণা দিয়েই খালাস। অথচ ঘোষণার তিন বছরেও তা কার্যকর হয়নি।
গ্রিন চ্যানেল সু্বিধা অকার্যকর হওয়ার জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও বিজিএমইএ পরস্পরকে দোষারোপ করছে।
এনবিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী যেসব গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানের মালিকানা ২৫ শতাংশের বেশি পরিবর্তন হয়নি, অডিট হালনাগাদ আছে, বন্ড লাইসেন্স নবায়ন আছে এবং যাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ও দাবিনামা নেই এমন প্রতিষ্ঠানই গ্রিন চ্যানেলের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
গামেন্ট মালিকরা বলছেন, গ্রিন চ্যানেলের চেয়ে সাধারণ নিয়মে পণ্য খালাস তুলানামুলক সহজ এবং সময় কম লাগে। কঠিন শর্ত এবং অতিরিক্ত আনুষ্ঠানিকতার কারণে কেউ গ্রিন চ্যানেলের ব্যাপারে আগ্রহী নয়।
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম,বিডিকে বলেন, ‘কার্যকরভাবে গ্রিন চ্যানেল সুবিধা বাস্তবায়ন করা হলে সবাই আগ্রহী হতো। কিন্তু গ্রিন চ্যানেলের বিদ্যমান শর্তের কারণে বছরে দুএক জনের বেশি কেউ এটা ব্যবহার করছেনা। ’
বিজিএমই এ পরিচালক লিয়াকত আলী চৌধুরী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম,বিডিকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটে সব প্রতিষ্ঠানের তথ্য আছে। সেখান থেকেই কাস্টমস কর্তৃপক্ষ স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে গ্রিন চ্যানেল সুবিধা কার্যকর করতে পারে। এজন্য অডিট হাল নাগাদ ও অন্যান্য জটিল শর্ত প্রয়োগের প্রয়োজন নেই। ’
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুবুজ্জামান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘২০০৭ সালে গ্রিন চ্যানেল সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে অফিস আদেশ জারি হয়েছে। এর পর আমরা বিজিএমইএ নেতাদের বলেছি ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী যেসব প্রতিষ্ঠান এই সুবিধা পাবে তার একটি তালিকা দিতে। এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে অনেকবার বৈঠক হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ’
গ্রিন চ্যানেলে পণ্য খালাসে আনুষ্ঠানিকতা বেশি এবং সময় বেশি লাগে বিজিএমই’র এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘এখানে কোন জটিলতা নেই। বিজিএমই এটাকে গুরত্ব দিচ্ছে না এটাই মূল কথা। ’
বাংলাদেশ সময় ১১৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১০