ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১১
তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা: বেসরকারি খাতে দেশের পৃথক তিনটি স্থানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।

এগুলো হচ্ছে- খুলনা ৯৯ দশমিক ৩৮২ মেগাওয়াট আইপিপি পাওয়ার প্লান্ট, জামালপুর ৯৪ দশমিক ৮৪৩ মেগাওয়াট আইপিপি পাওয়ার প্লান্ট ও চট্টগ্রাম ১০৮ মেগাওয়াট আইপিপি পাওয়ার প্লান্ট।



এসব পাওয়ার প্লান্ট ২০১২ সালের নভেম্বর মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করবে বলে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

খুলনা ৯৯ দশমিক ৩৮২ মেগাওয়াট আইপিপি পাওয়ার প্লান্টটি যৌথভাবে নির্মাণ করবে মতিয়ারা মালয়েশিয়া এবং পাওয়ার প্যাক হোল্ডিং বাংলাদেশ।

এইচএফও (ফার্নেস অয়েল) ভিত্তিক এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ৬ দশমিক ৬৯২০ টাকা দরে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।

একই কোম্পানি জামালপুর পাওয়ার প্লান্টও স্থাপন করবে।

ডুয়েল ফুয়েল (এইচএফও এবং গ্যাস) ভিত্তিক এ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ৬ দশমিক ৯৮১৬ টাকা দরে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।

চট্টগ্রাম ১০৮ মেগাওয়াট আইপিপি পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করবে কনসোর্টিয়াম অব কনফিডেন্স সিমেন্ট লি. ও এনার্জি প্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড।

এইচএফও জ্বালানিভিত্তিক এই কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ৭ দশমিক ০২৬৬৭ টাকা দরে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আবুল কালাম আজাদ।

প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুল হক।
 
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ মির্জা আজম এমপি, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এস এম আলমগীর কবির।

উল্লেখ্য, মহাজোট সরকারের আমলে প্রথম এ তিনটি আইপিপি (ইনডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্লান্ট) নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করা হল বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান।

তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দেশ সরকার এবং জনগণের জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষরের ঘটনা একটি আনন্দের সংবাদ। ’

তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে যথা সময়ে এবং মানসম্মতভাবে নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘বিএনপি সরকার টঙ্গীতে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করলেও নির্মাণ ত্রুটির কারণে অল্পদিন পরেই বন্ধ হয়ে যায়। ’

তিনি একই সঙ্গে সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

বর্তমান সরকার সব খাতের উন্নয়ন করে যাচ্ছে জানিয়ে বলেন, ‘সাংবাদিকদের সরকারের ভালো কাজগুলোও তুলে ধরতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে নয়, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থেকেই সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। ’

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘দয়া করে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না। ’

জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক- ই- ইলাহী বলেন, ‘বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে তখন দেশে মাত্র ৩৩ শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। যা এখন ৫ হাজার ১৭৫ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। ’

চলতি বছরের মধ্যে তা ৬ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে সরকারি-বেসরকারি মিলে ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad