ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

২২ বছর পর বিনিয়োগ বোর্ডের নিজস্ব জনবল

সাইদ আরমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১১
২২ বছর পর বিনিয়োগ বোর্ডের নিজস্ব জনবল

ঢাকা: প্রতিষ্ঠার ২২ বছর ঝুলে থাকার পর অবশেষে নিজস্ব জনবল কাঠামোর অনুমোদন পেয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ বোর্ড।

গত সপ্তাহে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় বিনিয়োগ বোর্ডের এ জনবল কাঠামো অনুমোদন করে।



অর্থ মন্ত্রণালয় থেকেও গত রোববার ছাড়পত্র পেয়েছে কাঠামোটি। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এ ব্যাপারে অর্থ ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি আদেশ (জিও) জারি করা হবে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে জনবল কাঠামো অনুমোদনের কপি বোর্ডে এসে পৌঁছেছে।

এরই মধ্যে নিয়োগ বিধি প্রণয়নের কাজও শুরু করে দিয়েছে বিনিয়োগ বোর্ড।

একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, ১৯৮৯ সালের তৎকালীন শিল্প বোর্ডের জনবল কাঠামো নিয়ে চলছে বিনিয়োগ বোর্ড। সরকারের অনীহার কারণে প্রতিষ্ঠার ২২ বছরেও প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব জনবল কাঠামোর অনুমোদন পায়নি।

এর আগে বিষয়টি কয়েকবার সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়েও ফিরে এসেছে।    

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৩৯টি নতুন পদ সৃষ্টিসহ ২৯৯ সদস্যের একটি জনবল কাঠামো তৈরি করে পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে।

তবে পাঠানো ওই কাঠামোতে বর্তমানে বিনিয়োগ বোর্ডে থাকা শিল্প বিভাগের ৩৪১ পদ বিলুপ্তের জন্য সুপারিশ করা হয়।

প্রধামন্ত্রীর দপ্তর থেকে বিষয়টি সচিব কমিটির সভায় ওঠে গত জুনের শেষের দিকে। সর্বশেষ ৬ আগস্ট সচিব কমিটি ২৯৩ সদস্যের কাঠামো অনুমোদন করে।

সচিব কমিটিতে অনুমোদন পাওয়া ২৯৩ পদের মধ্যে রয়েছে- সদস্য ৪ জন, সচিব পদ একটি, পরিচালক ১২টি, উপ-পরিচালক ২০ ও সহকারী পরিচালক হিসেবে ৩০টি পদ রাখা হয়েছে।

এর বাইরে তৃতীয় শ্রেণীর পদ ১৩৫টি এবং বাকিগুলো চতুর্থ শ্রেণীর।

তবে এতেও আশার আলো দেখছে না বিনিয়োগ বোর্ড। কারণ জনবল কাঠামো অনুমোদন পেলেও নিয়োগ বিধি নিয়ে আবার আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পোহাতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বোর্ড নিয়োগ বিধি তৈরি করে তা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠাবে। সেখান থেকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে, সংস্থাপন থেকে যাবে সরকারি কর্ম কমিশনে, কর্ম কমিশন থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে ভেটিংয়ের জন্য।

আইন মন্ত্রণালয় ঘুরে তা অনুমোদনের জন্য আবার সচিব কমিটিতে উঠবে। সচিব কমিটি তা পাশ করলে নিয়োগ বিধিটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে।

বিনিয়োগ বোর্ডের অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মতে, এ সরকারের আমলে হয়তো বিনিয়োগ বোর্ডের নিয়োগ বিধি চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে না। আবার নতুন সরকার এলে কী হবে তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই।
 
এ বিষেয় জানতে চাইলে বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী সদস্য নাভাস চন্দ্র ম-ল বাংলানিউজকে জানান, জনবল কাঠামো অনুমোদন পেলেও নিয়োগ বিধি তৈরি ও তার অনুমোদন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। নিয়োগ বিধি চূড়ান্ত ছাড়া নতুন এই জনবল কাঠামোর কোনও মূল্য নেই।

‘তবে নিজস্ব জনবল কাঠামোর চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ায় আমরা নিয়োগ বিধি প্রণয়নের কাজ শুরু করে দিয়েছি। আশা করছি, জনবল কাঠামোর অনুমোদন বিষয়ে দুয়েক দিনের মধ্যে সরকারি আদেশ (জিও) জারি হবে। ‘
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।