ঢাকা: গত অর্থবছরের প্রথম মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার পরিমাণ কমেছে।
চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রথম মাসে(জুলাই ’১১) ২৭৭ কোটি ২২ লাখ ডলারের সমমূল্যের পণ্যের আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে।
গত ২০১০-১১ অর্থবছরের একই সময়ে ৩০০ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের সম-পরিমাণ এলসি খোলা হয়েছিল। শতকরা হিসেবে এলসি খোলার পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এদিকে গত মাসে ২৬৩ কোটি ৭০ লাখ ডলারের এলসি’র নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত: গত অর্থবছরের প্রথম মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে এলসি খোলার পরিমাণ কমলেও সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের সর্বশেষ মাস অর্থাৎ গত জুনের (২০১১) তুলনায় বেড়েছে। উল্লেখ্য, গত জুনে এলসি খোলার পরিমাণ ছিল ২৬৫ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, জুলাইয়ে সবচেয়ে বেশী এলসি খোলা হয়েছে গার্মেন্ট পণ্য (ফেব্রিক্স, এক্সেসরিজ, ইয়ার্ন) আমদানি খাতে। এ খাতে ৩৭ কোটি ৫ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। এর পরেই রয়েছে পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য। এ খাতে এলসি খোলা হয়েছে ৩৪ কোটি ৩০ লাখ ডলারের।
তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে সার ও কাঁচা তুলা আমদানি খাত। এর মধ্যে সার আমদানিতে ১৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার এবং কাঁচা তুলা আমদানিতে ১৮ কোটি ৪ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছে।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি খাতে ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার, অন্যান্য যন্ত্রপাতি আমদানিতে ৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, পোল্ট্রি খাতে ৩ কোটি ২৪ লাখ ডলার, ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ২ কোটি ৫৯ লাখ ডলার, স্ক্র্যাপ ভেসেল আমদানি খাতে ২ কোটি ১৭ লাখ ডলার ও সিমেন্ট আমদানিতে ২ কোটি ২ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছে।
অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের মধ্যে জুলাইয়ে সবচেয়ে বেশি এলসি খোলা হয়েছে চিনি আমদানি খাতে। এ খাতে এলসি খোলা হয়েছে ১২ কোটি ৪ লাখ ডলারের। অন্যান্যের মধ্যে চাল আমদানি খাতে ২ কোটি ৫৭ লাখ ডলার, গম আমদানিতে ১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, অপরিশোধিত পাম অয়েল খাতে ৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার, দুগ্ধজাত খাদ্য খাতে ১ কোটি ১১ লাখ ডলার ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি খাতে ১ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা , ১১ আগস্ট , ২০১১