শেরপুর: টানা বর্ষণের কারণে জেলার প্রায় ৪ শতাধিক চাতাল কল মালিকদের প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে চাতাল ব্যবসায়ীরা জানান।
জেলায় চারদিন ধরে টানা বষর্ণের কারণে শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
স্থানীরা জানান, ১৪০ বছরের পুরানো শেরপুর পৌরসভায় আজ পর্যন্ত পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যাবস্থা গড়ে না উঠায় সামান্য বৃষ্টিতেই শহর জুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। রোববার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত টানা বর্ষণে পৌর এলাকার চকবাজার, মাধবপুর, খরমপুর, টিক্কাপাড়া, চাপাতলী, মুন্সিবাজার, বাগরাকসা, গৌরীপুর, ঢাকলহাটি, গৃদানারায়নপুর, গাঙ্গিনাপাড়, শেখহাটি, বাগবাড়ি, চকপাঠকসহ বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এ সময় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এছাড়া চাকুরিজীবিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ তাদের কর্মস্থলে যাতায়াতেও সমস্যায় পড়েছেন।
তাছাড়া দিন মজুর ও শ্রমিকরা প্রতিদিনকার কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
অধিক বৃষ্টিতে শহরের শতাধিক চাতাল কলের ধান-চাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চাতালে ধান শুকাতে না পারায় ওই ধান থেকে গাছ গজাতে শুরু করেছে। যেসব চাতালের ধান ভেজানো আছে সেখানে টিউবওলের পানি দিয়ে ধানের দুর্গন্ধ ছাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
শহরের ঢাকল হাটি মহল্লার চাতাল ব্যাবসায়ী বিনয় সাহা বাংলানিউজকে জানান, ‘অতিবৃষ্টির কারণে আমরা চাল তৈরি করতে পারছি না। হাউজে যে ধান ভেজানো রয়েছে তা দুর্গন্ধ হয়ে যাওয়ায় চালের মান খারাপ হয়ে যাবে। ফলে আমাদের সদর উপজেলার ৪শত চাতাল কল মালিকেরা প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১১