ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

১৫ মাস পর উৎপাদনে যাচ্ছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১১
১৫ মাস পর উৎপাদনে যাচ্ছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট

সুনামগঞ্জ: দীর্ঘ ১৫ মাস পর আবারো উৎপাদনে যাচ্ছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড। কোম্পানির একটি বিশ্বস্ত সূত্র বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।



সূত্র আরো জানায়, শুক্রবার অথবা শনিবারের মধ্যে পুনরায় পুরোদমে উৎদপাদনে যাওয়ার সকল প্রস্তুুতিও ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।

দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর চলতি বছরের ৬জুলাই ভারতীয় সুপ্রীম কোর্ট লাফার্জের অনুকূলে রায় দেন। এরপর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন শুরু করে কোম্পানিটি। এখন রয়েছে উৎপাদনের অপেক্ষায়।

উল্লেখ্য, ফ্রান্স ভিত্তিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ১ দশমিক ২ মিলিয়ন টন সিমেন্ট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন বিশ্বের একমাত্র ক্রসবর্ডার প্রজেক্ট লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড সর্ব প্রথম উৎপাদনে যায় ২০০৬ সালের অক্টোবরে।

সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীর তীরবর্তী গড়ে ওঠা এ প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন শুরুর কয়েকমাস পরেই ভারতের পরিবেশ মন্ত্রণালয় পরিবেশ দূষণের অজুহাতে তাতে বাধ সাধে। মেঘালয় রাজে চেলা ননগট্রাই পাথর কোয়ারি থেকে সিমেন্ট উৎপাদনের মূল উপকরণ চুনা পাথর উত্তোলনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ফলে ২০০৭ সালের ১২ই এপ্রিল লাফার্জে সিমেন্ট উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর পরই কর্তৃপক্ষ দ্বারস্থ হয় ভারতীয় সুপ্রীম কোর্টের। উচ্চ আদালতের রায় তাদের অনুকূলে হওয়ায় একই বছরের ডিসেম্বরে তারা পুনরায় উৎপাদনে ফিরে আসে।

স্থানীয়ভাবে চুনা পাথর সংগ্রহের মাধ্যমে নামমাত্র সিমেন্ট উৎপাদিত হয় বলে লাফার্জ সিমেন্ট কর্তৃপক্ষের ভারতের ওপর নির্ভর করতে হয়।

আবারও দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় একই অজুহাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলে ২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল লাফার্জকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে হয়।

তখন থেকেই বাংলাদেশ সরকার লাফার্জের হয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে আসছিল। এছাড়া আন্তর্জাতিক ভাবেও কূটনৈতিক তৎপরতা শরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।