ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

কমেছে বাজার দরের ঊর্ধ্ব গতি

করিমুল বাশার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১১

ঢাকা: টানা বৃষ্টিপাত আর তীব্র যানজটে নগরবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠলেও বাজার দর নিয়ে মোটামুটি স্বস্তিতে রয়েছে ভোক্তারা। রমজানের শুরুতে বাজার দর লাগামহীন বেড়ে গেলেও বাজার ঘুরে দেখা দেখা গেছে এখন তা বেশ স্থিতিশীল।



বুধবার রাজধানীর বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচাবাজারে মুরগি ও মাছের দাম কিছুটা বাড়লেও বাড়েনি সবজির দাম। রোজার শুরুতে চাহিদা বেশি থাকায় সবজির দাম বেড়েছিল বলে দাবি করেছেন সবজি বিক্রেতারা। চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন দামও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তাদের দাবি ।

তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, বৃষ্টি ও রোজাসহ বিভিন্ন অজুহাতে সবজি বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করেই সবজির দাম বাড়িয়ে দেয়।

নগরীর কাঁঠালবাগান, কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকায়, যা গত এক সপ্তাহ ধরে একই দামে বিক্রি হচ্ছে।

প্রথম রোজায় প্রতি কেজি শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকায়। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়; যা রোজার শুরুতেও প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছিল।

এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, ঢেঁড়শ ৩০-৩৫ টাকা, করলা ৪০-৪৫ টাকা, পেঁপে ১৫-১৮ টাকা এবং চিচিংগা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে এসব সবজি দাম তেমন না কমলেও বাড়েনি।

তবে বাজারে গরুর মাংস সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হলেও বেড়েছে মুরগি ও মাছের দাম। বাজারে প্রতি কেজি মুরগি (ফার্ম) বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা, যা রোজার শুরুতে ছিল ১২০-১২৫ টাকা। প্রতি কেজি রুই মাছ (৫০০গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৫০ টাকা, রোজার শুরুতে যা ২১০-২৩০ টাকা ছিল।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পরও সবজির দাম না বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা সিরাজ (২২) বাংলানিউজকে বলেন, ‘রমজানের শুরুতে সবজির চাহিদা বেশি ছিল, তাই দাম বেড়েছে। এখন সবজির চাহিদা কমেছে, তাই দামও কমে এসেছে। ’

কাঁঠালবাগান বাজারের সবজি বিক্রেতা খায়রুল (৩৫) বলেন, ‘যোগান বেশি থাকলে দাম কমে, আর যোগান কম থাকলে দাম বাড়ে। ’

সবজি বিক্রেতারা এর আগে দাবি করেছিল বৃষ্টি হলে যোগান কম থাকে, ফলে দাম বাড়ে। এ কথাটি তার সামনে তুলে ধরলে তিনি এর কোনও উত্তর দিতে পারেননি।

তবে তার দোকানে বাজার করতে আসা মাহমুদ হাসান (৩৮) এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বৃষ্টি বা রোজা দাম বাড়ার কোনও কারণ নয়। ’ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করেই দাম বাড়িয়ে দেয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা হাবিবুর রহমান (৪৩) বলেন, ‘সবজি মজুদ করার জিনিস নয়। তাই এর দাম বাড়ানোর পিছনে মজুতদারদের কোন হাত নেই। প্রতি মার্কেটে সবজি বিক্রেতাদের একটি সিন্ডিকেট থাকে। তারাই সবজির দাম নির্ধারণ করে একই দামে সবাই বিক্রি করে। ’

তাই বিভিন্ন বাজারে একই সবজি ভিন্ন দামে বিক্রি হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মুরগির দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের জনতা পোল্ট্রির মালিক রাকিব (৪৫) বাংলানিউজকে বলেন, ‘রোজায় স্বাভাবিকভাবেই চাহিদা বেশি থাকে। সে তুলনায় যোগান কম, তাই মুরগির দাম বাড়ছে। ’

মাছের দাম বাড়ারও একই কারণ উল্লেখ করলেন কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।