ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি (ছবি) সম্বলিত দুই, পাঁচ, একশ, পাঁচশ ও এক হাজার টাকা মূল্যমানের নতুন নোট বৃহস্পতিবার থেকে প্রথম বারের মতো বাজারে আসছে।
প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের কাউন্টার থেকে নতুন ডিজাইনের এই নোটগুলো ইস্যু করা হবে, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস ও সব বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে একই প্রক্রিয়ায় ইস্যু করা হবে।
এসব মূল্যমানের নতুন নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত কাগজের নোট এবং ধাতব মুদ্রাও যথারীতি চালু থাকবে।
২ টাকা মূল্যমানের নোটের বৈশিষ্ট্য
অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এ নোটের সাইজ ১০০৬০ মিলিমিটার । সিনথেটিক ফাইবার মিশ্রিত অধিক টেকসই কাগজে মুদ্রিত। কাগজে জলছাপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। প্রতিকৃতির নিচে অতি উজ্বল ইলেক্ট্রোটাইপ জলছাপে ২ লেখা আছে। নোটে ২ মিলিমিটার চওড়া এমবেডেড্ নিরাপত্তা সুতা ব্যবহার করা হয়েছে। নোটের সামনের দিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং পটভূমি বা ব্যাকগ্রাউন্ডে জাতীয় স্মৃতি সৌধ হালকা রংয়ে মুদ্রিত রয়েছে।
৫ টাকা মূল্যমানের ব্যাংকনোটের বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আতিউর রহমান স্বাক্ষরিত এ নোটের সাইজ ১১৭৬০ মিলিমিটার । কাগজে জলছাপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। প্রতিকৃতির নিচে অতি উজ্বল ইলেক্ট্রোটাইপ জলছাপে ৫ লেখা আছে । নোটের সামনের দিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং পটভূমি বা ব্যাকগ্রাউন্ডে জাতীয় স্মৃতিসৌধ হালকা রংয়ে মুদ্রিত রয়েছে।
১০০ টাকা নোটের বৈশিষ্ট্য
গভর্নর আতিউর রহমান স্বাক্ষরিত এ নোটের সাইজ ১৪০৬২ মিলিমিটার। কাগজে জলছাপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। নোটের ডানদিকে আড়াআড়িভাবে ইন্টাগি-ও কালিতে ৭টি লাইন আছে। হাতের স্পর্শে এগুলো সহজেই অনুভব করা যাবে। বাম পাশে ৪ মিলিমিটার চওড়া নিরাপত্তা সুতা।
৫০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংকনোটের বৈশিষ্ট্য
আতিউর রহমান স্বাক্ষরিত এ নোটের সাইজ ১৫২৬৫ মিলিমিটার। সিনথেটিক ফাইবার মিশ্রিত অধিক টেকসই কাগজে জলছাপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। ইলেক্ট্রোটাইপ জলছাপে ৫০০ লেখা আছে। নোটের বাম পাশে আছে ৪ মিলিমিটার চওড়া নিরাপত্তা সুতা। যাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের লগো ও ৫০০ টাকা লেখা আছে।
১০০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংকনোটের বৈশিষ্ট্য
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান স্বাক্ষরিত এ নোটের সাইজ ১৬০৭০ মিলিমিটার। সিনথেটিক ফাইবার মিশ্রিত অধিক টেকসই কাগজে মুদ্রিত। কাগজে জলছাপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও তার নিচে অতি উজ্বল ইলেক্ট্রোটাইপ জলছাপে ১০০০ লেখা আছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির জলছাপের বামপাশে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রামের উজ্বলতর ইলেক্ট্রোটাইপ জলছাপ রয়েছে। নোটের সামনের দিকে ইন্টাগি-ও কালিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুদ্রিত। নোটটির ডানদিকে আড়াআড়িভাবে ইন্টাগি-ও কালিতে ৭টি লাইন আছে; হাতের স্পর্শে এগুলো সহজেই অনুভব করা যাবে। নোটের
পিছনের দিকে ইন্টাগি-ও কালিতে জাতীয় সংসদ ভবন মুদ্রিত। নোটের বাম পাশে আছে ৪ মিলিমিটার চওড়া নিরাপত্তা সুতা।
যাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো ও ১০০০ টাকা লেখা আছে। সরাসরি তাকালে ‘লোগো ও ১০০০ লেখা সাদা দেখাবে।
কিন্তু পাশ থেকে দেখলে বা ৯০ ডিগ্রীতে নোটটি ঘুরালে তা কালো দেখাবে। নোটের ডানদিকে অন্ধদের জন্য ৫টি ছোট বিন্দু রয়েছে যা হাতের স্পর্শে উচু-নিচু অনুভূত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, আগস্ট০৯, ২০১১