ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজারে আসছে প্রগতির মিৎসুবিসি পাজেরো স্পোর্টস জিপ

হাজেরা শিউলি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১১
বাজারে আসছে প্রগতির মিৎসুবিসি পাজেরো স্পোর্টস জিপ

চট্টগ্রাম: দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব খাতের একমাত্র গাড়ি সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এক সপ্তাহের মধ্যে মিৎসুবিসির নতুন মডেলের পাজেরো স্পোর্টস জিপ বাজারজাত করতে যাচ্ছে।

সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় অত্যাধুনিক এ গাড়িটি  ৬৯ লাখ ২৮ হাজার টাকায় ক্রেতারা কিনতে পারবে।

এর মাধ্যমে দেশে গাড়ি সংযোজনের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল প্রগতি।  

ইতোমধ্যে নতুন মডেলের ২৫’শ সিসির এই গাড়ির বাজারজাত করার ব্যাপারে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বের নামকরা গাড়ি প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠান জাপানের মিৎসুবিসি কর্পোরেশন ।

দীর্ঘ ১২ বছর পর আবার মিৎসুবিসির নুতন মডেলের জিপ বাজারজাত করতে যাচ্ছে প্রগতি।

প্রগতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৮ জুলাই এই গাড়ি বাজারজাতকরণের ব্যাপারে প্রগতিকে গ্রিন সিগন্যাল দেয় মিৎসুবিসি।

নতুন মডেলের এই গাড়ির বাজারজাতকরণের জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) টাইপ অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

ইতোমধ্যে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিআরটিএর অনুমোদন পেলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ক্রেতাদের হাতে এই গাড়ি তুলে দেওয়া হবে।

এরআগে বাড়বকুন্ডে প্রগতির নিজস্ব কারখানায় সংযোজিত মিৎসুবিসির নতুন মডেলের গাড়ির গুণগতমান পরীক্ষা করে সন্তুষ্ট হয়েছে প্রতিষ্ঠানের তিন সদস্যের স্পেশাল কোয়ালিটি অডিট টিম। বুকিং দেওয়া ১২টি গাড়ি ক্রেতাদের হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

প্রগতির কর্মকর্তারা জানান, নতুন মডেলের যে কোনও গাড়ি আমদানি বা বাজারজাত করতে বিআরটিএর টাইপ অনুমোদন লাগে। এই অনুমোদন দেওয়ার আগে বুয়েট এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশে এই গাড়ি চলাচলের উপযোগী বা পরিবেশসম্মত কিনা সেটার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায়  বিআরটিএ ।

মিৎসুবিসির পাজেরো ভি- ৩১ গাড়ি সম্পূর্ণ বিযুক্ত অবস্থায় (সিকেডি) এনে প্রগতির কারখানায় সংযোজন করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী ২০১২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এই জিপ সরবরাহ করবে মিৎসুবিসি।

এরপর থেকে পুরনো সংস্করণের এই গাড়ি আর বাজারজাত করবে না মিৎসুবিসি। এর পরিবর্তে স্থান করে নেবে উন্নত সংস্করণ মিৎসুবিশি ২৫০০ সিসির পাজেরো স্পোর্টস জিপ।

প্রগতির উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিপনন) কুতুবুদ্দিন আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর মিৎসুবিসি থেকে ৪০০ গাড়ি সিকেড অবস্থায় এনে সংযোজনের পর বাজারজাতকরণের টার্গেট নির্ধারণ করেছে প্রগতি।

বর্তমানে বাজারে এই গাড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

যে ১২টি প্রতিষ্ঠান প্রগতি থেকে পাজেরো স্পোর্টস জিপ নেয়ার অপেক্ষায় আছে সেগুলো হচ্ছে- পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প- দুটি। এছাড়া ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, রংপুর জেলা পরিষদ কক্সবাজার জেলা পরিষদ, ময়মনসিংহ পৌরসভা, জয়দেবপুর পৌরসভা, সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প , জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-ঢাকা, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও বহিরাগমন পাসপোর্ট অফিস একটি করে গাড়ি নেবে।

প্রগতির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ক্রয়) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, ইতোমধ্যে প্রগতি মিৎসুবিশি থেকে ৫৮টি পাজেরো স্পোর্টস জিপ সিকেডি অবস্থায় আনা হয়েছে।   এরমধ্য ৩০টি গাড়ি সংযোজন করা হয়েছে। বাকীগুলো সংযোজনের পর্যায়ে রয়েছে। আরো ৫০টি আমদানির জন্য পাপলাইনে আছে।

উল্লেখ্য, বিআরটিএর কাছে গাড়ি বিক্রি বাবদ ১২৬ কোটি টাকা বকেয়া থাকায় সরকারী তিনটি ব্যাংক থেকে বছরে এক’শ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে চলছে প্রগতির কার্যক্রম।

এর পরেও ২০১০-১১ অর্থবছরে সাড়ে ৩১ কোটি টাকা মুনাফা করেছে একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ব এই প্রতিষ্ঠানটি। নিজস্ব মূলধন থাকলে মুনাফার পরিমাণ আরো অনেক বেশি হতো বলে মনে করেন প্রগতির কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।