ঢাকা: শিপিং কোম্পানি ও এজেন্ট কর্তৃক শিপার্স কাউন্সিল অব বাংলাদেশকে (এসসিবি) ফ্রেইট বাবদ অর্থ যথা নিয়মে আদায়ের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগের প্রমাণের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক পুনরায় এ নির্দেশ দেয়।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সকল অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, কয়েকটি শিপিং কোম্পানি/এজেন্ট তাদের আয়ের থেকে কমিশনের অর্থ বাদে তাদের আয়ের অতিরিক্ত ১ শতাংশ ব্যয় দেখাচ্ছে। কিন্তু ঐ এক শতাংশের দশমিক ৫০ শতাংশ শিপার্স কাউন্সিলকে পরিশোধের কথা থাকলেও তা ঠিকমতো পরিশোধ করছে না এজেন্টগুলো।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ওই ফ্রেইট পরিশোধ করে ত্রৈমাসিক আয়-ব্যয় বিবরণী তৈরি করে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানোর আগে অর্থ পরিশোধের পক্ষে প্রয়োজনীয় দালিলিক প্রমাণ দাখিল করতে হবে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে যদি কোন ব্যাংক ফ্রেইট ব্রোকারেজ চার্জ না নিয়ে তাদের গ্রাহকের অনুকূলে অর্থ প্রেরণ করে থাকে তবে অনাদায়ী সমস্ত পাওনা পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা জানায়, ১৯৯৬ সালে সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় এই নির্দেশ জারি করে। পরে শিপিং কোম্পানি ও এজেন্টরা বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যায়।
৩ বছর মামলা চলার পর আদালত সরকারের আদেশকে বৈধ বলে রায় দেয়।
পরে বাংলাদেশ ব্যাংক সাকুলার জারি করে। ঐ সার্কুলারের বিপক্ষেও এজেন্টরা আদালতে যায় ২০০৮ সালে।
সবশেষ এ বছরের ২৭ জানুয়ারি আদালত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঐ নির্দেশ বহাল রাখে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১১