ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরাসরি পণ্য বিক্রয় আইন-২০১১’র প্রথম খসড়া প্রণীত

স্টাফ করেসপডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১১
সরাসরি পণ্য বিক্রয় আইন-২০১১’র প্রথম খসড়া প্রণীত

ঢাকা: অবস্তুগত বা অলীক পণ্য, অনলাইন পেমেন্ট, পণ্যে বাধ্যতামূলক মোড়ক ব্যবহার, সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখের বিধান রেখে সরাসরি পণ্য বিক্রয় আইন-২০১১’র প্রথম খসড়া প্রণয়ন করেছে সরকার। পরবর্তীতে আইনটি সংশোধনের জন্য ওয়েবসাইটে মতামত চাওয়া হবে।



সোমবার বিকেলে এমসিসিআই অডিটোরিয়ামে প্রথম খসড়া আইনের ওপর এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।    

মতবিনিময় সভায় ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. আবুল কাশেম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, সরাসরি পণ্য বিক্রয় ও এমএলএম নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ওঠায় সরকার আইন করার বিষয়টি বিবেচনায় আনে। এ জন্য প্রথম খসড়া প্রকাশ করা হলো। খসড়াটি সংশোধনের জন্য অচিরেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মতামত চাওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কম্পিটিশন ল’ এরইমধ্যেই মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অচিরেই তা সংসদে উত্তোলন করা হবে।  
 
সরাসরি পণ্য বিক্রয় পদ্ধতিতে প্রতারিত কোন ব্যক্তি ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেনি। এমনকি কোন থানাতে মামলাও করেনি। এ বিষয়ে অভিযোগ করলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

এবিএম আবুল কাশেম বলেন, মন্ত্রি পরিষদের অনুমোদনের পর খসড়াটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। পাশাপাশি আইনটি যাতে দ্রুত পাস হয় সে বিষয়ে আশ্বাস দেন তিনি।  

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাণিজ্য সচিব মো. গোলাম হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন পলিসি রিসার্স ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, এমসিসিআই’র সদস্য হাবিবুল্লাহ এন করিম, দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবু হেনা মো. রাজি হাসান প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন এমসিসিআইয়ের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব) আমজাদ খান।  

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর আওতায় কোম্পানিগুলোকে নিবন্ধন নিতে হবে। এ লাইসেন্স ব্যতীত সরাসরি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির শাস্তি অনধিক ৩ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, নিম্নমানের পণ্য বিক্রয়ে ৩ বছর কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা, চুক্তিভঙ্গ করলে ৩ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা, বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বেআইনি অবস্থানে ১ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হবে। এ সকল অপরাধ জামিন অযোগ্য, আমলযোগ্য ও আপোষযোগ্য এবং  অপরাধের বিচার প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য।

উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত সরাসরি পণ্য বিক্রয় আইনে মোট ৫০টি ধারা রয়েছে।  

মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সরাসরি পণ্য বিক্রয় ও এমএলএম কোম্পানিগুলো কি ভূমিকা রাখছে তা বিবেচনা করতে হবে। যদি ইতিবাচক হয় তবে এটাকে উৎসাহিত করতে হবে আর নেতিবাচক হলে আইন করে তা বন্ধ করতে হবে।     

পাশাপশি তারা বলেন,  আইন অমান্যকারীদের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত আইনে যে অর্থ দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে তা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক বাণিজ্য সচিব ছহুল আহমেদ চৌধুরী, জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার আহমেদ রহিম, অতিরিক্ত বাণিজ্য সচিব মুর্তজা রেজা চৌধুরী প্রমুখ।  

বালাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad