ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রতিশ্রুতি পাওয়া ৫৭ সিএনজি স্টেশনে সংযোগ দেওয়ার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১১
প্রতিশ্রুতি পাওয়া ৫৭ সিএনজি স্টেশনে সংযোগ দেওয়ার দাবি

ঢাকা: প্রতিশ্রুতি পাওয়া ৫৭ টি স্টেশনে অবিলম্বে সিএনজি সংযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারশন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এ দাবি জানানো হয়।



সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন নয়ন।

তিনি বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করে ২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনগুলোর অনুমোদন দেওয়ার পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে গ্যাস সরবরাহের বরাদ্দপত্র চাওয়া হয়।

এ সময় স্থানীয় কোম্পানি, জেলা, আঞ্চলিক এবং প্রধান কার্যালয়সহ সরকারি ১৭ প্রতিষ্ঠান থেকে অনাপত্তি ও অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে উদ্যোক্তারা স্টেশন স্থাপন করতে ব্যাংক ঋণ এবং সম্পত্তি বন্ধক রেখে পুঁজি বিনিয়োগ করে।

তিনি আরও বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত দশ হাজার মানুষের অন্ন সংস্থান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া ৩০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ ধ্বংসের পথে। আমদানিকৃত যন্ত্রপাতিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

 এ সময় জাকির হোসেন জানান, গ্যাস সংকটের জন্য ২০০৯ সালে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পেট্রোবাংলা গ্যাসের উৎপাদন দৈনিক ২ হাজার ২শ’ মিলিয়ন ঘনফুট না হওয়া পর্যন্ত এরই মধ্যে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি ব্যতীত নতুন এলাকায় নতুনভাবে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।

কিন্তু ওই নির্দেশনার ভুল ব্যাখ্যা করে ৫৭ স্টেশনে সংযোগ দেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘অথচ নির্দেশনা জারির পর থেকে ৬৯১টি শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ’

এ সময় তিনি বলেন, ‘নতুন সংযোগ দিলে সিএনজি গাড়িগুলো বিভাজিত হয়ে বিভিন্ন স্টেশন থেকে গ্যাস নিতে পারবে। এতে গ্যাসের কোনও সংকট হবে না। ’

সেইসঙ্গে ৫৭টি উদ্যোক্তা পরিবার ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে দাবি করে তিনি বলেন, ‘২ হাজার মানুষের সরাসরি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, ঋণগ্রহীতারা ব্যাংকের চলমান মামলা থেকে রেহাই পাবেন। ’

তিনি আরও বলেন, ‘তা না হলে স্টেশনগুলোর অকেজো হতে থাকা যন্ত্রপাতির ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গ্যাস কোম্পানিগুলোকে বইতে হবে ব্যাংক ঋণের ভার। ’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি সাদাত আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংযোগ না পাওয়া বিভিন্ন সিএনজি স্টেশনের উদ্যোক্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।