ঢাকা: দেশের দুই পুঁজিবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ব্যাপক দরপতন ঘটেছে।
সোমবার লেনদেনের শুরু থেকেই উভয় বাজারে সূচক বাড়তে থাকে। লেনদেনের প্রথম ২০ মিনিটে ডিএসইর সূচক ৬০ পয়েন্টের মতো বাড়ে। এরপর ১১ টা ২০ থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সূচক কমে যায়। পরবর্তীতে ১১টা ৩৫ মিনিট থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত আবার বাড়ে সূচক। পৌনে ১২টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সূচক পুনরায় পড়ে যায়। এরপর ১২ টা ৫ মিনিট থেকে ১ টা ৫ মিনিট পর্যন্ত সূচক টানা বাড়ে। এর পরই সূচক নিম্নমুখী হতে থাকে যা লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। সিএসইতেও একই চিত্র।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয় ২৬১টি প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে ৪১টির দাম বেড়েছে, ২০৭টির কমেছে এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৩টি প্রতিষ্ঠানের দাম। একই সঙ্গে ডিএসইর সাধারণ সূচক ৯২.০২ পয়েন্ট কমে নেমে যায় ৬ হাজার ৩৬৭.৫৯ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক ৭২.৩৭ পয়েন্ট কমে স্থির হয় ৫ হাজার ৩০৭.৭২ পয়েন্টে।
এদিন মোট ১১ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার ১৭৩টি শেয়ার ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৪৭ সংখ্যকবারে লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ১ হাজার ৫ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। যা আগের দিনের চেয়ে ৩৩৫ কোটি ৭০ লাখ ২৪ হাজার টাকা কম।
সোমবার লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) ডিএসইর শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ছিল- বেক্সিমকো, আরএন স্পিনিং, ম্যাকসন্স স্পিনিং, গ্রামীণফোণ, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, সামিট পাওয়ার, এমআই সিমেন্ট, ন্যাশনাল ব্যাংক, মবিল যমুনা ও মালেক স্পিনিং।
অপরদিকে সিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, সোমবার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮টির দাম বেড়েছে, ১৭২টির কমেছে এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪টি প্রতিষ্ঠানের দাম। পাশাপাশি সাধারণ সূচক ২৩৫.৮৯ পয়েন্ট কমে নেমে আসে ১১ হাজার ৫৮৯.৫৫ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হয় মোট ১১৯ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ১৪৯ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১১