ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ছোলা লাগাম ছাড়া, আমদানিকারকরা বলছে `মান ভালো`

করিমুল বাশার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১১
ছোলা লাগাম ছাড়া, আমদানিকারকরা বলছে `মান ভালো`

ঢাকা: সারা বছর দাম প্রায় একই রকম থাকলেও রমজানের দুই-তিন মাস আগে হঠাৎ করেই যে পণ্যের দাম বাড়া শুরু হয় তার নাম ছোলা। আর তাই রমজানের আগে তেল ও চিনির দামে স্থিতি এলেও ছোলার দাম অস্থিতিশীল রয়েই গেছে।



পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা দাবি করছেন, সরকার চাইলে ছোলার দাম স্থিতিশীল করতে পারে।

কিন্তু ছোলা আমদানিকারকদের অন্য দাবি। তাদের দাবি, রমজানের জন্য যে মানের ছোলা আমদানি করা হয়েছে, সে মানের ছোলা অন্য সময় আমদানি করা হয় না। ’

কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) হিসাব মতে,  গত একমাস আগেও যে ছোলার দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, তা দাম বেড়ে হয়েছে ৭৬ থেকে ৮০ টাকা।

ক্যাবের সভাপতি কাজী ফারুকের কাছে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রমজানের সময় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ালে তা মানুষের চোখে পড়বে। তাই তারা রমজানের আগেই দাম বাড়িয়ে দেয়, যেন রমজানে আর দাম বাড়াতে না হয়। এটি ব্যবসায়ীদের একটি কৌশল। ’

মোহাম্মদপুর বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী লস্কর ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে তেল ও চিনি নিয়ে আলাপকালে তিনি নিজ থেকেই বলেন, ‘সরকার তেল ও চিনির দাম নিয়ন্ত্রণ করেছে, কিন্তু ছোলার বাজার নিয়ে কোনো কথা বলছে না। ’

শবে-বরাতের পর প্রতি কেজি ছোলাতে ১৫-২০ টাকা দাম বেড়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ‘সরকার যেভাবে তেল ও চিনির দাম নিয়ন্ত্রণ করলো, তাতে বোঝা যায় সরকার চাইলে সব পারে। ’

তাই ছোলার দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা রাখা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী চিনির আড়তদার সর্পরাজের (৪৮) সঙ্গে আলাপকালে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘মিল মালিকরা কি না পারে। পর্যাপ্ত মাল থাকার পরও তারা মাল আটকে রেখে বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে। সরকারের জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণে তারা মাল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ’

তাই সব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সরকারের ভূমিকা থাকা উচিত বলে তিনিও মন্তব্য করেন।

তবে ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও ডাল আমদানিকারক শফিক মাহমুদের অন্য কথা। তিনি বলেন, ‘এখন বাজারে যে মানের ছোলা আমদানি করা হয়েছে, তা শুধু রমজানের জন্যই বার্মা থেকে আনা হয়েছে। ’

এ ছোলার আমদানি খরচ ৭০-৭২ টাকা পড়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে এ ছোলা বছরের অন্য সময় আমদানি করা ছোলার মতো, তবে তিনি যা বলবেন, আমিই তাই করবো। ’

তিনি বলেন, ‘যারা সারা বছরে একবারও ছোলা খায়নি তারাই বলে এগুলো একই ধরণের ছোলা। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।