ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আমদানি ও রফতানি শাখা এক হচ্ছে

হাজেরা শিউলী <br>চট্টগ্রাম ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১০
সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আমদানি ও রফতানি শাখা এক হচ্ছে

চট্টগ্রাম:সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আমদানি ও রফতানি শাখাকে একীভুত করা হবে। ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশনের সহায়তায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন বাস্তবায়ন এবং ট্রেড ফ্যসিলিটেশন বাড়ানো হবে।


চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার ‘চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে’র শুল্কায়ন ও খালাস পদ্ধতি সহজীকরণ এবং রাজস্ব ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ’ বিষয়ক সেমিনারে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. নাসিরুদ্দীন আহমেদ একথা বলেন।

কাস্টম হাউসের একীভুত হওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হতে দেরি হওয়াতে দু:খ প্রকাশ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের কথা দিয়ে যেতে পারি সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস একীভুত হবে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বন্ড কমিশনারেট হবে। স্টেক হোল্ডারদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম কাস্টমের মামলা নিষ্পত্তির জন্য এখানে ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের বিষয়টি এনবিআর সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে।

সেমিনারে  ‘চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে’র শুল্কায়ন ও খালাস পদ্ধতি সহজীকরণ এবং রাজস্ব ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ‘চট্টগ্রাম কাস্টম, এক্সাইজ, ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির মহাপরিচালক প্রকাশ দেওয়ান।

 প্রবন্ধে তিনি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং রাজস্ব আদায়ের ৯টি ঝুঁকি  তুলে ধরে ১৫টি সুপারিশ উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধে বলা হয়, শুধুমাত্র মামলার কারণে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এক হাজার কোটি টাকারো বেশি রাজস্ব আটকে গেছে। কাস্টমসের নিজস্ব আইন কর্মকর্তার পদ দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য থাকায় দক্ষতার সাথে মামলা নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না।


রাজস্ব আদায়ের অন্যান্য ঝুকির মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে কাস্টম হাউসের  কম্পিউটার সিস্টেমের ইন্টারফেস না থাকা, সঠিক শুল্কায়নযোগ্য পণ্যের মূল্য নিরূপনে অসুবিধা, ্িপএসআই ও নন পিএসআই পণ্যের কায়িক পরীক্ষার জন্য এনবিআরের সঠিক নির্দেশনা না থাকা, অয়েল বন্ডে আমদানি করা ভোজ্য তেলের পরিমাণ নির্ধারণে স্থাপিত রাডার অকার্যকর থাকা, সঠিক রিস্ক ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতির অভাব, পোস্ট কিয়ারেন্স  অডিট ব্যবসস্থা চালু, কাস্টম হাউসের নিজস্ব  ল্যাবে পরীক্ষার সুবিধা না থাকা , বিএসটিআইয়ের সার্টিফিকেট প্রাপ্তির দীর্ঘসূত্রতা এবং অটোমেটেড শুল্কায়ন ব্যবস্থার অডিট না হওয়া ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

এসব ঝুঁকি নিরসন করে কাস্টম হাউসের কার্যক্রমে গতি আনতে প্রবন্ধে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে  লোকবল সংকট দূর করা , কার্যকর ও হালনাগাদ ভ্যালুয়েশন ডাটাবেইজ গড়ে তোলা, কর্মকর্তাদের ট্রেনিং,মামলা মোকাবেলায় আইন সেল গঠন , আইন কর্মকর্তা নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত লিগ্যাল রিটেইনার নিয়োগ, পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনের বাস্তবায়ন, কাস্টমসের  ল্যাবকে আধুনিকায়ন, অফডকে খালাসযোগ্য পণ্যের তালিকা বাড়ানো এবং গ্রিন চ্যানেল ব্যবস্থা কার্যকরা করা ।

এনবিআরের সদস্য হুসেইন আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে কাস্টম হাউসের কমিশনার ( আমদানি ) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, কমিশনার (রফতানি) জামাল হোসেন, ভ্যাট  কমিশনার ফিরোজ শাহ আলম, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক  এস এম আবু তৈয়ব, কাস্টমস বন্ডের অতিরিক্ত কমিশনার মতিউর রহমান, মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক মাহবুব চৌধুরী, সিএএন্ডএফ এজন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আলতাফ হোসেন, বিজিএমইএ’র পরিচালক লিয়াকত আলী চৌধুরী  বক্তব্য রাখেন।  


বিজিএমইএ’র পরিচালক লিয়াকত আলী চৌধুরী গ্রিন চ্যানেল কার্যকর করার জন্য শর্ত সহজ করার অনুরোধ জানান ।


সিএন্ডএফ এজেন্ট  এসোসিয়েশসেনর সভাপতি আলতাফ হোসেন অটোমেশন পদ্ধতির দুর্বলতা তুলে ধরে দ্রুত পুর্নাঙ্গ অটোমেশন বাস্তবায়নের আহবান জানান।


সবশেষে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

বাংলাদেশ সময় :২০০৬ঘণ্টা, ১০ আগস্ট,২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।