ঢাকা : চলতি অর্থবছরে রপ্তানিমুখী ১৯টি খাতে ভর্তুকি/নগদ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে এ কথা জানানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে রপ্তানিমুখী ১০টি খাতে নগদ সহায়তা ও অবশিষ্ট ৯টি পণ্যে ভর্তুকি দেওয়া হবে। এগুলো হচ্ছে: রপ্তানিমুখী দেশীয় বস্ত্রখাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাক-এর পরিবর্তে ৫ শতাংশ হারে বিকল্প নগদ সহায়তা প্রদান।
এছাড়া হোগলা, খড়, আখের ছোবড়া ইত্যাদি দ্বারা তৈরি হস্তজাত পণ্য রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হারে। কৃষি পণ্য (শাক-সবজি/ফলমূল) ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কৃষি পণ্য খাতে ভর্তুকি দেওয়া হবে ২০ শতাংশ।
অন্যান্যের মধ্যে বাই-সাইকেল রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে ১৫ শতাংশ। হাঁড়ের গুড়া খাতে নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ, পোল্ট্রি শিল্পের হ্যাচিং ডিম ও মুরগীর বাচ্চা রপ্তানি খাতে ভর্তুকি ১৫ শতাংশ, হালকা প্রকৌশল পণ্য খাতে ভর্তুকি ১০ শতাংশ, ঈশ্বরদী ইপিজেড-এ কৃষিভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগ আকর্ষণে লিক্যুইড গ্লুকোজ রপ্তানিতে ভর্তুকি ২০ শতাংশ, শতভাগ হালাল মাংস খাতে ভর্তুকি ২০ শতাংশ, হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ খাতে নগদ সহায়তা ১০ শতাংশ, চামড়াজাত দ্রব্য খাতে নগদ সহায়তা ১২.৫ শতাংশ, জাহাজ রপ্তানি খাতে ভর্তুকি ৫ শতাংশ।
এছাড়া নতুন পণ্য/নতুন বাজার (যুক্তরাস্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়া) খাতে নগদ সহায়তা ২ শতাংশ, ফিনিশড লেদার রপ্তানি খাতে ভর্তুকি ৪ শতাংশ, ক্রাস্ট লেদার খাতে ভর্তুকি ৩ শতাংশ, বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে অতিরিক্ত সুবিধা (প্রচলিত নিয়মে) নগদ সহায়তা ৫ শতাংশ, আলু রপ্তানিতে নগদ সহায়তা ২০ শতাংশ, প্লাস্টিক পেট বোতল, ফ্লাস্ক খাতে ভর্তুকি ১০ শতাংশ এবং পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি খাতে ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, এসব পণ্যসমূহে ভর্তুকি/নগদ সহায়তা প্রদান চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে এবং আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এই সুবিধা বহাল থাকবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৪১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১১