ঢাকা: দেশের পরিস্থিতির ওপরেই বাজারের স্থিতিশীলতা নির্ভর করে বলে উল্লেখ করছেন ব্যবসায়ীরা। যারা দেশের মঙ্গল চায়, তারা হরতাল দিয়ে বাজার অস্থির করে তুলতে পারে না বলেও তারা মন্তব্য করেছেন।
চলতি সপ্তাহে নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে- নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম গত সপ্তাহের মতো স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে চিনির দাম। তবে আগামী সপ্তাহে চিনির দাম কিছুটা কমতে পারে বলে ধারণা করছেন চিনির আড়তদাররা।
চলতি সপ্তাহে নগরীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, কারওয়ান বাজার, কাঁঠালবাগান বাজার ঘুরে দেখা গেছে- খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট (রশিদ) চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, মিনিকেট বিশ্বাস বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায় এবং শাহসুপার চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৩ টাকায়। এই চালগুলোর দাম গত সপ্তাহেও প্রায় একই ছিল। পাইকারি বাজারে দামের তেমন তারতম্য হয়নি বলে জানান পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
গত সপ্তাহের তুলনায় পাইকারি ও খুচরা উভয় বাজারেই চিনির দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে এক টাকা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকা ও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়।
হরতালের কারণে তেলের বাজার কিছুটা অস্থিতিশীল হয়ে উঠলেও এখন আবার স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১০৩ টাকায়, সুপার পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১০৪ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতি কেজিতে তেলের দাম এক টাকা বাড়তি ছিল। তবে বোতলজাত তেলের দাম কমেনি। বাজারে ৫ লিটারের রুপচাঁদা তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়, মুসকান বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়। যা গত সপ্তাহেও প্রায় একই দরে বিক্রি হয়েছিল।
এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি মসুর ডাল (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৭৭-৮০ টাকায়, মসুর ডাল (ক্যাঙ্গারু) বিক্রি হচ্ছে ৮৮-৯০ টাকায়, ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকায়, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩৬ টাকায় ও রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। যা গত সপ্তাহেও প্রায় একই দরে বিক্রি হয়েছিল।
হরতালের কারণে সবজির বাজারে যে অস্থিরতা দেখা গিয়েছিল তা কিছুটা কাটিয়ে উঠেছে। প্রতি কেজি সবজির দাম কমেছে ২-৫ টাকা।
বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকায়, পটল ৩৫ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, পেঁপে ১৮ টাকা, করলা ৪০ টাকা, চিচিংগা ৩৫ ও ঢেঁড়শ ৩৫ টাকা। তবে কাঁচামরিচের দাম কমেনি। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।
বাজারের সার্বিক অবস্থার কথা জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর বাজারের লস্কর ট্রেডার্সের মালিক আবদুল কুদ্দুস (৩২) বাংলানিউজকে বলেন, ‘হরতাল দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করে। তবে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে বাজারও স্থিতিশীল থাকে। ’
যে বা যারা দেশের মঙ্গল চায়, তারা কখনও হরতাল ডাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
চিনির দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের চিনির আড়তদার সর্পরাজ (৪৮) বলেন, ‘অনেকগুলো মিল বন্ধ হয়ে আছে। চাহিদা অনুযায়ী যোগান নেই। তাই দাম বাড়ছে। ’
তবে আগামী সপ্তাহে কয়েকটি মিল চালু হলে দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১১