ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

রপ্তানি আয় বেড়েছে শতকরা ৪১ দশমিক ৪৭ ভাগ

করিমুল বাশার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১১

ঢাকা: বাংলাদেশে কৃষিপণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয় বাড়লেও কমেছে কাঠ ও কাঠজাত আসবাবপত্র এবং সিমেন্ট, লবণ ও স্টোনসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি আয়। আবার কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়লেও কমেছে চা এর রপ্তানি।

অন্যদিকে ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের রপ্তানি আয় কমলেও বেড়েছে ইলেকট্রিক পণ্যের রপ্তানি।

বাংলাদেশে যেখানে ২০০৯-১০ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছিল ১ হাজার ৬২০কোটি ৪৬ লাখ ডলারের সেখানে ২০১০-১১ অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ২ হাজার ২৯২ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। অর্থাৎ রপ্তানি আয় গত অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে শতকরা ৪১ দশমিক ৪৭ ভাগ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ইপিবি থেকে আরও জানা যায়, ২০১০-১১ অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১হাজার ৮৫০ কোটি ডলারের। কিন্তু রপ্তানি হয়েছে ২হাজার ২৯২ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শতকরা ২৩ দশমিক ৯২ ভাগ বেশি রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছে।

ইপিবি থেকে জানা যায়, সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে কৃষিপণ্য থেকে রপ্তানি হয়েছে ৩৩ কোটি ৩৯লাখ ডলার। যেখানে ২০০৯-১০ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ২৪ কোটি ২৩ ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় রপ্তানি আয় বেড়েছে শতকরা ৩৭ দশমিক ৭৯ ভাগ।

কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়লেও কমেছে চা এর রপ্তানি আয়। ২০১০-১১ অর্থবছরে ৬ লাখ ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও মাত্র ৩ লাখ ২০ হাজার ডলার আয় করতে সক্ষম হয়েছে এ কৃষিপণ্য থেকে। যা লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে শতকরা ৪৬ দশমিক ৬৭ ভাগ কম আয়।

এছাড়া, ২০০৯-১০ অর্থবছরে চা রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৫ লাখ ৬৫ হাজার ডলার। যা ২০১০-১১ অর্থবছরের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ডলার। অর্থ্যাৎ গত অর্থবছরের তুলনায়  ৪৩ দশমিক ৩৬ ভাগ কমেছে রপ্তানি আয়।

সিমেন্ট, লবণ ও স্টোনসহ বিভিন্ন ম্যানিউফ্যাকচার্ড পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে শতকরা ৪ দশমিক ৫৬ ভাগ। ২০০৯-১০ অর্থবছরে এসব পণ্যের রপ্তানি আয় হয়েছিল ১ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে তা কমে হয়েছে ১ কোটি ৮৬ লাখ ডলার।

অন্যদিকে, যেখানে পাট রপ্তানি করে ২০০৯-১০ অর্থবছরের ৭৮ কোটি ৭৯ লাখ ডলার আয় হয়েছিল সেখানে ২০১০-১১ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ১১১ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের। অর্থাৎ রপ্তানি আয় বেড়েছে শতকরা ৪১ দশমিক ৪৯ ভাগ।

পাটের রপ্তানি আয় বাড়লেও কমেছে কাঠ ও আসবাবপত্রের রপ্তানি আয়। কাঠ ও আসবাবপত্র রপ্তানি করে আয় হয়েছে মাত্র ১ লাখ ২৯ হাজার ডলার, যেখানে গত ২০০৯-১০ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ২ লাখ ১৮ হাজার ডলার। অর্থ্যাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় রপ্তানি আয় কমেছে শতকরা ৪০ দশমিক ৮৩ ভাগ।

এছাড়া, ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে রপ্তানি আয় কমেছে শতকরা দশমিক ৫০ ভাগ। তবে বেড়েছে ইলেকট্রিক পণ্যের রপ্তানি আয়। ২০০৯-১০ অর্থবছরে যেখানে ২ কোটি ৬১ লাখ ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছিল সেখানে ২০১০-১১ অর্থবছরের রপ্তানি আয় বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার। অর্থাৎ রপ্তানি আয় বেড়েছে শতকরা ৩৭ দশমিক ৯৯ ভাগ।

রপ্তানি আয় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ইপিবির উপ-পরিচালক জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রতিবছর রপ্তানি আয় বাড়ছে। রপ্তানি আয় বাড়া মানে দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হওয়া। তাই রপ্তানি আয় যত বাড়বে আমাদের দেশ ততো সমৃদ্ধশালী হবে। ’

এবারের রপ্তানি আয় সন্তোষজনক কিনা তার জবাবে তিনি বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় রপ্তানি আয় অনেক বেড়েছে। এটি অবশ্যই সন্তোষজনক। ’

তবে যেসব সেক্টর কমেছে সেসব সেক্টরের সমস্যা নিরুপণ করে তা কিভাবে বাড়ানো যায় তার চেষ্টা করতে হবে।

সেই সঙ্গে খুব শিগগিরই চলতি অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad