ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি থেকে কমিয়ে ২৫ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সোমবার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) বাজার পরার্মশ কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ প্রস্তাব করা হয়।
বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর বিষয়েও একমত প্রকাশ করা হয় সভায়। তবে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হলে এসইসির কমিশন সভার অনুমোদন লাগবে।
বাজার পরামর্শ কমিটির আহবায়ক ও এসইসি’র সিনিয়র সদস্য মো. মনসুর আলম বিষয়টি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে নিশ্চিত করেছেন।
পরার্মশ কমিটির সভায় এসইসি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিক লিস্টিং কোম্পানি, মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন, সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ ব্যাংক এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, পরার্মশ সভায় উপস্থিত ইস্যু ম্যানেজাররা বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে আনার প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবে বলা হয়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা বাধ্যতামুলক করায় অনেক কোম্পানি ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারছে না।
এসইসির এই নির্দেশনা কিছুটা শিথিল করে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে আইটিওসহ পরিশোধিত মূলধন ২৫ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। সভায় উপস্থিত সবাই এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, এসইসি গত ১১ মার্চ পুঁজিবাজারে কোম্পানি তালিকাভুক্তির এক নিদের্শনা জারি করে। সেখানে বলা হয় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে আইপিওসহ পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ০৯ আগস্ট, ২০১০