ঢাকা: ডাক বিভাগের এক্সপ্রেস মেইল সার্ভিস (ইএমএস) সেবার মাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়ে বানিজ্যিক পণ্য অবানিজ্যিক ঘোষণায় আনায় সাড়ে পাঁচশত লোকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে শুল্ক বিভাগ।
অভ্যন্তরিন শুল্ক বিভাগের (আইসিডি) যুগ্ম কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী বলেন, ‘ডাক বিভাগের মাধ্যমে শুল্কারোপ যোগ্য পণ্য আনার কোন নিয়ম নেই।
এমন কিছু পণ্য ইএমএস এর মাধ্যমে আনা হচ্ছে যা শুল্ক আইন, আমদানী ও রপ্তানি আইন, মানি লন্ডারিং আইন, বিটিআরসি আইনের পরিপন্থি। শুল্ক আইন ১৯৬৯ এর ১৫, ১৬ ও ৩২ ধারা অনুসারে দোষী ব্যক্তি ও কোম্পানীর বিরুদ্ধে মামলা করা শুরু হয়েছে বলে তিনি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি’কে জানান।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই বিমান বন্দর শুল্ক বিভাগ বিমান বন্দর পোষ্ট অফিস থেকে প্রথম পর্যায়ে ৫৫৬টি পার্সেল, ইএমএস প্যাকেট আটক করে। এরপর প্রতিদিনই কিছু কিছু করে পার্সেল, ইএমএস প্যাকেট আটক করায় গ্রাহক ভোগান্তি বেড়ে যায়। এতে ২০ জুলাই ডাক ও শুল্ক বিভাগ আলোচনায় বসে সাধারণ গ্রাহকের পণ্য দ্রুত সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয়। গত শুক্র ও শনিবার ১০৪টি প্যাকেট পরীক্ষার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মোট ৫৫৫টি পার্সেল ও ইএমএস প্যাকেট চুড়ান্ত পরীক্ষা ও মামলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, আগষ্ট ০৯, ২০১০।