ঢাকা: অসাধু ব্যবসায়ীদের মত কাজ না করতে টিসিবি (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) ডিলারদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
রোববার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ টিসিবি’র গুদাম থেকে ভোগ্যপণ্য ডিলারদের মধ্যে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এই আহবান জানান।
টিসিবি’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, বাণিজ্য সচিব মোহাম্মদ গোলাম হোসেন, অতিরিক্ত সচিব এম মুর্তজা রেজা চৌধুরী ও টিসিবি’র পরিচালক মাহফুজার রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৮ থেকে ১০ দিন পর ডিলারদের মাঝে দ্বিতীয় পর্যায়ে পণ্য বিতরণ করা হবে এবং বাজারে চাহিদা থাকলে তৃতীয় পর্যায়েও পণ্য বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলে মন্ত্রী জানান।
উল্লেখ্য, আসন্ন রমজান উপলক্ষে টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে ভোগ্যপণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী দিনে আজ ঢাকাসহ সারাদেশে একযোগে সকল বিভাগীয় সদরসহ ১২টি স্থান থেকে এ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ বছর টিসিবি’র পণ্য বিতরণ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ২৫ হাজার টন চিনি, ২০ হাজার টন সয়াবিন তেল, ১০ হাজার টন মশুর ডাল, দুই হাজার টন ছোলা ও পাঁচ হাজার টন পাম অয়েল। সংস্থার এক হাজার ৮শ’ ১৯ জন ডিলার সারাদেশে টিসিবি নির্ধারিত মূল্যে এসব পণ্য সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, প্রত্যেক ডিলারকে তিন মেট্রিক টন চিনি, অক মেট্রিক টন সয়াবিন তেল, এক মেট্রিক টন ছোলা এবং এক মেট্রিক টন মসুর ডাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডিলাররা টিসিবি’র নির্ধারিত প্রতি কেজি চিনি ৪৫ টাকা, সয়াবিন তেল ৭৮ টাকা, ছোলা ৪৪ টাকা এবং মশুর ডাল ৭৮ টাকায় বিক্রয় করবেন। ডিলারগণ বিতরণ কেন্দ্র/গুদাম থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রতি কেজি/লিটারে তিন টাকা এবং ৫০ কিলোমিটারের উর্ধ্বে হলে চার টাকা করে কমিশন পাবেন।
টিসিবি’র নিদের্শনা অনুসারে একজন ক্রেতার কাছে সর্বোচ্চ দুই কেজি চিনি, পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মশুর ডাল ও দুই কেজি ছোলা বিক্রি করা যাবে। এর জন্য ক্রেতাদের মাস্টার রোল সংরক্ষণ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৮০০ ঘন্টা ; ০৮ আগস্ট , ২০১০