আশুগঞ্জ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আন্তর্দেশীয় ট্রান্সশিপমেন্ট কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হবে নভেম্বরে। বাংলাদেশ-ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট কেন্দ্রটি চালু হলে প্রতি বছরে পরিবহন খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে।
এ ট্রান্সশিপমেন্ট কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন কালে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান আবদুল মালেক রোববার এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ ও ভারতের ২২ সদস্যের যৌথ প্রতিনিধি দল প্রস্তাবিত স্থানটি পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান আবদুল মালেক। ভারতের নয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন শিপিং মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব রাজীব গুপ্তা।
দু’দেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আন্তর্দেশীয় ট্রান্সশিপমেন্ট কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ভারতের প্রস্তাবিত স্থান হিসাবে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরের জেটিঘাট, ফেরিঘাট এবং মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।
বিআইডব্লিউটিএ (অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তপক্ষ) চেয়ারম্যান আবদুল মালেক বাংলানিউজটোয়েন্টফোর.কম.বিডিকে জানান, কেন্দ্রটি স্থাপনে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭শ’ কোটি টাকা। কেন্দ্রটি চালু হলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিমাণ আরো বাড়বে।
তিনি আরো জানান, এ ট্রান্সশিপমেন্ট কেন্দ্র চালু হলে ভারতের ত্রিপুরা ও আগরতলাসহ সাতটি রাজ্যের মালামাল পরিবহনের ব্যয় প্রায় চার ভাগের এক ভাগে নেমে আসবে। এছাড়া আশুগঞ্জের অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, বন্দরে তিনটি আন্তর্জাতিক মানের টার্মিনাল জেটি, বন্দরে কাস্টম অফিস, বিআইডব্লিউটিএ অফিস, স্থল বন্দরের অফিস, কন্টেনার টার্মিনাল, ক্রেন ইয়ার্ড, ওয়ার হাউজ, ইলেক্ট্রিক সাব-স্টেশন, ট্রাক ইর্য়াড, রেস্ট হাউজসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। প্রায় ২০ হাজার পিছ ধারণ মতা সম্পন্ন একটি কন্টেইনার ইয়ার্ড তৈরি করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১০