ঢাকা: আবাসন খাত দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে। কিন্তু, এই খাত সরকারের কাছ থেকে সেই অনুপাতে প্রয়োজনীয় সুবিধা পাচ্ছে না।
শনিবার সন্ধ্যায় রিহ্যাব আয়োজিত সামার ফেয়ারে বাংলানিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্যতম শীর্ষ গৃহ-নির্মাণ প্রতিষ্ঠান রূপায়ণের পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) আহসানুর রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে আবাসন খাতের জন্য প্রস্তাবিত উৎসে কর এই ব্যবসার জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বাণিজ্যিক জোনের প্রস্তাবিত করও অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন তিনি। তিনি সরকারের কাছে উৎসে কর প্রত্যাহারের আবেদন জানান।
তিনি বলেন, বিভিন্ন অপপ্রচার ও স্বার্থান্বেষী মহলেরর নানামুখী তৎপরতার কারণে এই খাতের বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তাই সরকারের এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, সরকার নতুন করে ভূমির দাম বাড়ালে আবাসন খাতের জন্য ভালো হবে না। নগরীতে এমনিতেই জমির দাম অনেক বেশি। তাই সরকারি ভাবে জমির দাম বাড়ালে বেসরকারি ভাবেও জমি অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ ক্রেতারা। উৎপাদন খরচ বাড়বে। বেড়ে যাবে ফ্ল্যাটের দামও। এতে ফ্ল্যাটের বিক্রি অস্বাভাবিক ভাবে কমে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। ফলে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব হারাবে।
তিনি বলেন, এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে একটি নীতিমালা প্রয়োজন। সঠিক নীতিমালা না থাকায় একটি বিশেষ মহল এই খাতটি ধ্বংস করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাই এখন ওই স্বার্থান্বেষী মহলের মুখোশ জনসমক্ষে উন্মোচন করা প্রয়োজন।
তিনি কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রতারণামূলক কর্মকান্ডকেও দায়ী করেন। তবে কেউ দোষ করলে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত। একজনের ভুলের জন্য পুরো একটি খাতকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া কারোই কাম্য নয়। আমরা আশা করছি সরকার সম্ভাবনাময় এই খাতটির বিকাশে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, আবাসন ব্যবসায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সরকার পিপিপি’র মাধ্যমে কাজ করতে পারে। এতে উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সরকারও লাভবান হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, ১৯ জুন, ২০১১