ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

দূষণ রোধে ৩ বছরে ৫৮৭ কারখানায় ইটিপি

তাবারুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
দূষণ রোধে ৩ বছরে ৫৮৭ কারখানায় ইটিপি

ঢাকা: তরল বর্জ্য সৃষ্টিকারী শিল্প-কারখানার পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ১শ’ ৮৪টি কারখানায় ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) স্থাপন করা হয়েছে। আর গত তিন বছরে মোট ৫৮৭টি কারখানায় ইটিপি স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।



সম্প্রতি প্রকাশিত পরিবেশ অধিদফতরের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে একমাত্র প্রযুক্তি ‘ইটিপি’ ছাড়া তরল বর্জ্য সৃষ্টিকারী নতুন কোনো শিল্প-কারখানা স্থাপন ও পরিচালনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) অনুযায়ী, দেশের সব শিল্প প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক। পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ অনুযায়ী, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পকে দূষণের মাত্রা ও পরিবেশগত প্রভাব বিচারে চার শ্রেণীতে ভাগ করে বিভিন্ন মেয়াদে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

পরিবেশবাদীরা মনে করেন, পরিবেশগত ছাড়পত্র ও নবায়ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের যথাযথ পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের একটি কৌশল।

পরিবেশ অধিদফতরের বার্ষিক ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শিল্প কারখানার পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১শ’ ৯৮টি শিল্প কারখানায় ইটিপি স্থাপন করা হয়। এছাড়া ২০১৩-১৪ বছরে ২শ’ ৫টি ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১শ’ ৮৪টি কারখানায় স্থাপন করা হয় দূষণ নিয়ন্ত্রণের ইটিপি।

অন্যদিকে, শিল্পদূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকায় ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তিন হাজার ৯শ’ ৫৯টি কারখানাকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর ২০১৩-১৪ বছরে পাঁচ হাজার ১শ’ ৩৪টি ও ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ৮শ’ ৩টি কারখানাকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

২০১২-১৩ অর্থবছরে ৭ হাজার ৯শ’ ৮৯টি কারখানা, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৮ হাজার ১শ’ ৫১টি কারখানা ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৬ হাজার ৫শ’ ৭০টি কারখানার পরিবেশগত ছাড়পত্র নবায়ন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, পলিথিনের ব্যবহার রোধে পরিবেশ অধিদফতর থেকে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পরিবেশ দূষণকারী পলিথিন জব্দ ও জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৫৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা, ২০১৩-১৪ বছরে ৮৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বায়ূ দূষণ নিয়ন্ত্রণে গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১ হাজার ২শ’ ৬৯টি ইটভাটাকে আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। আর ২০১৩-১৪ বছরে ১ হাজার ৮শ ২০টি ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৭শ’ ৯৩টি ইটভাটাকে আধুনিক করা হয়েছে। বিভিন্ন ইটভাটা বায়ু দূষণ করায় ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় হয়।

পরিবেশ অধিদফতর ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৭০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে বলেও প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। আর ২০১৩-১৪ বছরে এর পরিমাণ ৫৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৫৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
টিএইচ/এএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।