ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই ইউরোপে চিংড়ি রফতানি

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই ইউরোপে চিংড়ি রফতানি

ঢাকা: অবশেষে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ ছাড়াই  ইউরোপের বাজারে চিংড়ি ও হিমায়িত খাদ্য রফতানির সুযোগ পেল বাংলাদেশ।
 
এ মাসের শুরুতে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট হিমায়িত পণ্য আমদানির উপর সতর্কতা তুলে নেওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে এসব পণ্য প্রবেশে আর বাঁধা থাকছে না।



জানা যায়, দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ সার্টিফিকেট পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বের অন্য বাজারেও চিংড়ি রফতানির পথ সুগম হলো।

এর আগে, বাংলাদেশের থেকে রফতানি করা হিমায়িত মাছে মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকারক উপাদন পেয়েছিলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফলে ২০০৮ সালের ২৪ জুলাই বাংলাদেশ থেকে মাছ রফতানির ক্ষেত্রে প্রতিটি চালানে মাছের বিশ্লেষণধর্মী পরীক্ষার সুরক্ষা ব্যবস্থা আরোপ করেছিলো ইউরোপীয় কমিশন (ইসি)।
 
তবে আশার কথা হলো, এ সতর্কতা জারির পর ২০১০ থেকে এখন পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে রফতানি হওয়া মাছ ও চিংড়িতে ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক দ্রব্য মেলেনি। এসব পণ্যে ইউরোপের মানুষের খাদ্য তালিকায় যোগ হবার মতো গুণগতমানও অক্ষুণ্ণ ছিলো।

এসব বিবেচনা করেই বাংলাদেশের হিমায়িত মাছ রফতানির প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে ইসি। এ কারণে ইউরোপীয় কমিশনের প্লান্ট, অ্যানিমেল, ফুড অ্যান্ড ফিড বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি বাংলাদেশ থেকে মাছ রফতানির আগে তা পরীক্ষা করার যে সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিলো, তা তুলে নিয়েছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, এখন বাংলাদেশ থেকে রফতানি করা চিংড়ি ও হিমায়িত খাদ্য সঙ্গে বিশ্লেষণধর্মী পরীক্ষা প্রতিবেদন আর দিতে হবে না। এ বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে।
 
ইউরোপীয় ইউনিয়নে হিমায়িত মাছ রফতানির প্রক্রিয়ায় কিছু ত্রুটির সংশোধন চায় ইসি। বাংলাদেশে পরিদর্শনে এসে হিমাগার ও ট্রলারের মাছ সংরক্ষণে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় ত্রুটি পায় ইসির একটি প্রতিনিধিদল। এসব ত্রুটি দ্রুত সংশোধন করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলে তারা। গত এপ্রিলে পরিদর্শনের পর সম্প্রতি তাদের এ অবস্থা লিখিতভাবে জানায় ইসি।

এর আগে, ২০১১ সালের পরিদর্শন করা হয়। তখন মত্স্য প্রক্রিয়াকরণ সঠিকভাবে হওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ইউরোপে প্রত্যেক চালানে ২০ শতাংশ মাছ পরীক্ষার নিয়ম তুলে নেয়। এর পর থেকে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই এখন পর্যন্ত রফতানির সুযোগ দিয়েছে ইউরোপ। তার আগে ইউরোপে হিমায়িত মাছ রফতানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ পরীক্ষা করার বাধ্যবাধতকা ছিলো।

** চিংড়ি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুললো ইইউ

বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫
জেপি/ওএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad