ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের রফতানি মূল্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫
কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের রফতানি মূল্য

বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে সব ধরনের পেঁয়াজ রফতানিতে প্রতি মেট্রিক টন ৭০৫ মার্কিন ডলার কমিয়ে ৪০৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে দুই দফায় ২৫৫ ও ৪৩০ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৭০৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল।



রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি পত্র ফ্যাক্সযোগে ভারতের পেট্রাপোল  কাস্টমসে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
 
বেনাপোল স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরের রফতানিকারক রেজাউল বাংলানিউজকে জানান, ভারতে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সে দেশের বাজারেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গিয়েছিল। একারণে পেঁয়াজের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রুখতে ও রফতানিতে নিরুৎসাহিত করতে পেঁয়াজের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছিল সরকার। বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ার ফলে রফতানি মূল্য ৭০৫ মার্কিন ডলার থেকে আবারও কমিয়ে ৪০৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

এখন থেকে কোনো পেয়াঁজের চালান বাংলাদেশে রফতানি হলে তা নতুন মূল্যে কার্যকর করা হবে।

বেনাপোল স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীদের মুখ থেকে তিনি রফতানি মূল্য কমানোর বিষয়টি শুনেছেন। ভারত সরকার পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বাড়ানোর কারণে প্রায় এক মাস ধরে এপথে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছেনা বলে জানান তিনি।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জোব্বার হোসেন বলেন, মূল্য কমানোর বিষয়ে ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাদের এখনো কিছু জানায়নি। তবে কোনো ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানি করলে কাস্টমসের নির্ধারিত করা মূল্যে তা খালাস দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে ভারতীয় কাঁচামাল পণ্যের রফতানি মূল্য কয়েক মাস ধরে বেড়ে চলায় দেশের সর্ববৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে আমদানি বাণিজ্যে ধস নেমেছে। যা অন্যান্য সময়ের চেয়ে ৯৫ শতাংশ কম বলে জানা গেছে। এতে একদিনে প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব আয় থেকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে দেশিয় বাজারে এসব পণ্যের মূল্য বেড়ে চলেছে।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, চাহিদা মেটাতে গত মাসের প্রথম দিকেও প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় শতাধিক ট্রাক বিভিন্ন প্রকারের কাঁচামাল আমদানি হতো। এসব আমদানি হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে, মাস, পেঁয়াজ, গম, ঝাল, রসুন, আদা, চিনি, পানপাতাসহ বিভিন্ন প্রকারের পণ্য। গত কয়েক মাসে ভারতে কাঁচামালের রফতানি মূল্য আকাশ ছোয়া বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীরা মুনাফাতো দূরের কথা খরচ উঠাতে পারছেন না।

একারণে ভারতীয় কাঁচামাল পণ্যের আমদানি কেউ কমিয়ে দিয়েছেন। আবার অনেকে আমদানি বন্ধ করে দিয়ে চীন, বার্মাসহ অন্যান্য দেশ থেকে নিয়ে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।