ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিএসইর সামনে বিনিয়োগকারীদের অবস্থান ধর্মঘট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১১
ডিএসইর সামনে বিনিয়োগকারীদের অবস্থান ধর্মঘট

ঢাকা : পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানোর দাবিতে পূর্ব ঘোষিত অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

১৫ দফা দাবিতে এই ধর্মঘটে বিনিয়োগকারীরা হাতে কালো পতাকা নিয়ে অবস্থান করছেন।



রোববার বেলা পৌনে ১২টা থেকে বিনিয়োগকারীরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করছেন। চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

বাজেট ঘোষণার আগ পর্যন্ত প্রতিদিনই এ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের আহ্বায়ক মিজান উর রশিদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী ও গভর্নরকে পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি বাজেটে পুঁজিবাজার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো স্পষ্ট করতে হবে। ’

একই সঙ্গে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ গঠন করারও দাবি জানান তিনি।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিনিয়োগকারী আলমগীর হোসেন, কাজী নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, ফয়সাল আহমেদ, মো. মিজান প্রমুখ।

গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতনের ফলে বিক্ষোভ মিছিল করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তারা অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেন। এছাড়া বাজেটের আগ পর্যন্ত তারা পুঁজিবাজারের লেনদেন বন্ধ রাখারও দাবি জানান।

পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে ওইদিন ১৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে এসইসিকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

গত বৃহস্পতিবার এই অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়।

এসইসির কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলো ছিল- বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এসএলআর ও সিআরআরের হার কমানো, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের হার ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা (যা বর্তমানে ২ থেকে ২.৫ শত্যাংশের বেশি নয়), দুর্নীতিবাজদের পুনরায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বাধ্য করার মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা, গত অর্থ বছরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজার থেকে যে মুনাফা অর্জন করেছে তা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বাধ্য করা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোম্পানি পরিচালকদের বোনাস ও রাইটস শেয়ার থেকে প্রাপ্ত শেয়ার বিক্রিতে এক বছর স্থগিতাদেশ ঘোষণা করা, প্লেসমেন্টর টাকা অতিদ্রুত ফেরত দিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ডিএসসি, সিএসই থেকে একজন করে প্রতিনিধি ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৩ জন প্রতিনিধি নিয়ে ৭ জনের সমম্বয়ে মার্কেট মনিটরিং সেল গঠন করা। অযৌক্তিক হারে প্রিমিয়াম নিয়ে প্রাইমারি শেয়ার বাজারে আসা বন্ধ করা, মার্জিন লোনের হার ১:২ কার্যকর করা, ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংগুলোর শেয়ার লেনদেনে কমিশন ন্যূনতম ০ দশমিক ২৫ শতাংশ ধার্য করা, শেয়ারবাজারের সঠিক সূচক নির্নয় করা, বাজেটে কালো টাকা সাদা করার জন্য শর্ত সাপেক্ষে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেওয়া, শক্তিশালী মৌল ভিত্তিসম্মন্ন শেয়ারের ক্ষেত্রে উর্ধ্বমুখি মূল্য দশ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করা, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ গঠন করা এবং  মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা।


বাংলাদেশ সময় : ১৪০০, মে ২৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।