জামালপুর: রুগ্ন শিল্পের ভার বইতে বইতে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে জামালপুরের বিসিক শিল্পনগরী প্রকল্প। দীর্ঘ ৩০ বছরেও এখানে উল্লেখযোগ্য কোনো শিল্পকারখানা গড়ে না ওঠায় শিল্পনগরী পরিণত হয়েছে গরু-ছাগলের চারণ ভূমিতে।
নদীভাঙন আর দরিদ্র্য কবলিত এলাকা বলে পরিচিত জামালপুর জেলায় ুদ্র শিল্প বিকাশের ল্েয ১৯৮০ সালে স্থাপিত হয় বিসিক শিল্পনগরী। শহরের দণিপ্রান্তের দাপুনিয়া এলাকায় ২৬ একর জমির ওপর দু’টি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত শিল্প ইউনিট করার মতো ১৫০টি প্লট নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিসিক। পরে এ সংখ্যা ১৯৭-এ উন্নীত করা হয়।
দীর্ঘ ৩০ বছরে বরাদ্দ দেওয়া ১৭৮টি প্লটের শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে মাত্র ৮৩টিতে। বিভিন্ন সমস্যার কারণে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এগুলো। এর মধ্যে একেবারে রুগ্ন শিল্পে পরিণত হয়েছে ১৫টি। বিসিকে স্থাপিত সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান যমুনা সিমেন্ট কারখানাটিও বন্ধ রয়েছে প্রায় এক দশক ধরে।
অপরদিকে, অনেক রুগ্ন প্লটের মালিক বিসিকের শর্ত উপো করে এখানে গড়ে তুলেছেন আবাসিক স্থাপনা।
বিসিক নগরীতে নিরাপত্তা সীমানা প্রাচীর নেই, নেই কোনো ভালো ড্রেনেজ সিস্টেম। রাস্তাঘাটেরও বেহাল দশা। ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৯৯৫ সালে বিসিকে গ্যাস লাইন বসানো হলেও এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি গ্যাস সংযোগ। ুদ্রশিল্প মালিক ও ব্যবসায়ীদের সংগঠন নাসিবও নিষ্ক্রিয় এখানে।
অভিযোগ রয়েছে, অনেকেই প্লট বরাদ্দ নিয়ে শিল্প কারখানা করেননি। আবার অনেকে শিল্প স্থাপনার নামে ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে পতিত রেখেছেন বিসিকের প্লট।
মোটা অঙ্কের টাকা ব্যয় করে কারখানা স্থাপন করেও গ্যাসের অভাবে চালু করতে না পরার অভিযোগ করেছেন প্লট মালিকরা।
প্লট মালিক এম কে প্লাস্টিক ইন্ড্রাস্টিজের স্বত্বাধিকারী এনামুল হক খান মিলন ােভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা বিপুল অর্থ ব্যয় করে প্লটে কারখানা করেছি। কিন্ত গ্যাস না পাওয়ায় কারখনা চালু করতে পারছি না। ’
একই ধরনের অভিযোগ করেছেন প্লট মালিক রফিক আহম্মেদ ও শাহীন।
জামালপুর বিসিক শিল্পনগরীর কর্মকর্তা জীবন কুমার চৌধুরী গ্যাস, বিদ্যুৎ সঙ্কট ও রাস্তার সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়গুলো কর্তৃপকে জানানো হয়েছে। ’
এগুলো সমাধান হলে বিসিক প্রাণ ফিরে পাবে বলেও আশা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১০