ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশেষ সভায় বসছে।
এ কমিশন সভায় বহুল বিতর্কিত নর্দার্ন পাওয়ার সলিউশন কোম্পানির বন্ডকে প্লেসমেন্টের মাধ্যমে রুপান্তরের বিষয়টি অনুমোদনসহ এমআই সিমেন্ট ও মবিল যমুনা লুব্রিক্যান্টের তালিকাভূক্ত হওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে দুই বার এসইসি বৈঠকে বসলেও নর্দার্ন পাওয়ার সলিউশন কোম্পানির বন্ড ছাড়ার বিষয়টি অনুমোদন দেয়নি।
সোমবার তৃতীয় বারের মত এসইসি’র কাছে আবেদন করে কোম্পানিটি। এদিকে এসইসিতে আবেদনের পরিপ্রক্ষিতেই এ বিশেষ সভা আহ্বান করা হয়েছে।
সভার বিষয়টি এসইসি’র সূত্র নিশ্চিত করেছে।
কোম্পানিটির বন্ড ছাড়া নিয়ে আবারও বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার শেয়ার কেলেংকারির ঘটনায় আলোচিত সালমান এফ রহমান প্লেসমেন্ট বাণিজ্য করবেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর অনুমোদনের জন্য এসইসিকে প্ররোচিত করা হচ্ছে বলেও সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।
জানা য়ায়, এ কোম্পানিতে বেক্সটেক্স লিমিটেডের ৪৯.৯৭ শতাংশ মালিকানা রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসইসি’র শীর্ষ এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, বিশেষ সভায় নর্দান পাওয়ার সলিউশন সহ আরও দু’টি কোম্পানির শেয়ার বাজারে তালিকাভূক্ত হওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হবে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এমআই সিমেন্ট ও মবিল যমুনা লুব্রিকেন্ট।
জানা য়ায়, প্লেসমেন্ট বাণিজ্যের সুযোগ নিতে নর্দার্ন পাওয়ার সলিউশনের কনভার্টেবল বন্ড ইস্যু করা হচ্ছে।
এর আগে, নর্দান পাওয়ার ১৮ শতাংশ সুদ ও ফেসভ্যালু প্রাইসে বন্ড শেয়ারে রূপান্তর করার জন্য এসইসি’র কাছে আবেদন করে। সেখানে নর্দার্ন পাওয়ার সলিউশন লিমিটেড রূপান্তরযোগ্য বন্ড ইস্যু করে ১৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য গত ৩০ মার্চ এসইসিতে একটি আবেদনপত্র জমা দেয়। এসইসি পুরোটাই প্লেসমেন্ট ও ফেসভ্যালু প্রাইসে কনভার্ট করার আবেদন নাকচ করে দেন।
এদিকে নর্দার্ন পাওয়ারের প্রস্তাবিত বন্ডের সুদের হার এবং শেয়ারে রূপান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাংক ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মধ্যে ভিন্ন মত দেখা দিয়েছে।
তারা বলছে, ব্যাংকিং খাতে ১৩-১৪ শতাংশ হার সুদে ঋণ পাওয়ার সুযোগ থাকলেও কী কারণে কোম্পানিটি ১৮ শতাংশ সুদে বন্ড ইস্যু করছে।
এসইসি’র সূত্র এক কর্মকর্তা জানায়, নর্দার্ন পাওয়ার এর বিষয়ে এসইসি’র পরিচালক ও সদস্যদের কয়েক জনের মধ্যে দ্বিমত থাকলেও এসইসি’র চেয়ারম্যান এতে সম্মতি দেওয়ার পক্ষে রয়েছেন।
তবে এই অনুমোদন দেওয়া হলে এসইসি’র যা ভাবমূর্তি রয়েছে তারও নষ্ট হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ঘণ্টা ২০ এপ্রিল ২০১১