ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

এসইসির দশ কর্মকর্তাকে উদ্বৃত্ত ঘোষণা: অধিকার রক্ষায় মামলার প্রস্তুতি

জেবুন নেসা আলো, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১১
এসইসির দশ কর্মকর্তাকে উদ্বৃত্ত ঘোষণা: অধিকার রক্ষায় মামলার প্রস্তুতি

ঢাকা: নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয় ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতায় চরম বিপাকে পড়েছেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) দশ কর্মকর্তা। ১৫ বছর কর্মজীবন পার করার পর সম্প্রতি তাদের উদ্বৃত্ত ঘোষণা করে এসইসিকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়।

বিষয়টি জানার পর অধীকার রক্ষায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওই দশ কর্মচারী।

এসইসি সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালে ৬৪ জন কর্মকর্তা নিয়ে এসইসির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৭ সালে জনবল বাড়িয়ে ৭৭ করা হয়। ওই বছর উচ্চমান সহকারী (ইউডিএ), নিম্নমান সহকারী (এলডিএ) ও স্টেনোরাইটারের পদ বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়। এসব পদের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) পদে আত্মীকরণ করা হয়। তখন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই অর্থমন্ত্রণালয় থেকে এসইসি এ আতœীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

২০০৪ সালে এসে তাদের স্কেল ধরা হয়।   সে সময় পিএ এবং পিও পদের স্কেল একই হওয়ায় এসইসি আভ্যন্তরীনভাবে চিঠি দিয়ে পিএ পদের ১০ কর্মকর্তাকে পিও পদে উন্নীত করে। একই প্রক্রিয়ায় ১০ জনের মধ্যে একজনকে সহকারী পরিচালক (এডি) পদে উন্নীত করা হয়। এভাবে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে পিও পদে ৯ কর্মকর্তা ও এডি পদে এক কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন।

পিও পদে ৯ কর্মকর্তারা হলেন- মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, আশরাফুল ইসলাম, শাহানা পারভীন, মো. সেলিম, নান্নু মিয়া, মাহফুজুর রহমান, নাহার, মুন্সী এনামুল হক ও হাবিবুল্লাহ। এডি পদে কর্মরত রয়েছেন মো. জহিরুল হক।

এদিকে ২০১০ সালে পদোন্নতির এ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠে। গত জানুয়ারি মাসে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে জনবল বাড়ানোর অনুমোদন দিয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু করে কমিশন।

নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপে পদোন্নতি শুরু হয়। এ পর্যায়ে পিও পদে থাকা ৯ কর্মকর্তার এডি পদে পদোন্নতি দেওয়ার ব্যাপারে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠির প্রেক্ষিতে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়-যেহেতু একজন এডিসহ মোট ১০ কর্মকর্তার আতœীকরণ সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে করা হয়নি তাই তাদের উদ্বৃত্ত ঘোষণা করা হবে। উদ্বৃত্ত ঘোষণার পর এ ১০ কর্মকর্তাকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে যেতে হবে। তবে তার আগে অবৈধভাবে পদোন্নতি নিয়ে যে বাড়তি বেতন তারা তুলেছেন তা ফেরত দিতে হবে।

এ ব্যাপারে এসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত ৭/৮ বছর ধরেই আতœীকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে জটিলতা চলছে। মানবিকতার বিষয়টি বিবেচনা করে আত্মীকরণ জটিলতা নিরসণের চেষ্টা করা হচ্ছে। ’

এসইসি সূত্র জানায়, কিন্তু পিএ ও পিও পদের স্কেল এক হলেও এডি পদের স্কেল উপরে। ফলে এ জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ জটিলতা অব্যাহত থাকলে কর্মকর্তাদের বেতন বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং অবসরের পর তারা কোনো ভাতা পাবেন না।

এদিকে উদ্বৃত্ত ঘোষিত একাধিক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আত্মীকরণ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়ে থাকলে তার জন্য আমরা কিছুতেই দায়ী নই। তারওপর পদাবনতি দিয়ে বাড়তি বেতন ফেরত দেওয়ার বিষয়টিও মেনে নেওয়া যায় না। তাই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।