ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বোনাস শেয়ার দেওয়ার শর্তে তালিকাভুক্ত হচ্ছে মবিল যমুনা ও এমআই সিমেন্ট

জেবুন নেসা আলো, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১১
বোনাস শেয়ার দেওয়ার শর্তে তালিকাভুক্ত হচ্ছে মবিল যমুনা ও এমআই সিমেন্ট

ঢাকা: বোনাস শেয়ার দেওয়ার শর্তে তালিকাভুক্ত হচ্ছে মবিল যমুনা ও এমআই সিমেন্ট। বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে বাইব্যাকের বিকল্প হিসেবে বোনাস শেয়ার দেওয়ার ব্যাপারে দুই কোম্পানি ও স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উভয় পক্ষেরই সমর্থন রয়েছে।

তবে বোনাস ঘোষণায় অর্থবছর পরিবর্তন নিয়ে জটিলতায় পড়েছে এমআই সিমেন্ট। আইনের মধ্যে থেকে এ জটিলতা কাটিয়ে উঠলে দু সপ্তাহের মধ্যেই এ কোম্পানি দুটি তালিকাভুক্ত হতে পারবে বলে জানিয়েছেন ডিএসইর প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী।

কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, বোনাস শেয়ার ঘোষণা করতে হলে বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) পাশ হতে হবে। মবিল যমুনার আর্থিক বছর জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব করা হয়। সেক্ষেত্রে গত ডিসেম্বরে তাদের বছর শেষ হয়েছে। এখনো বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। এরইমধ্যে তাদের আর্থিক প্রতিবেদনও তৈরি হয়েছে।   কোম্পানি বোনাস শেয়ার দিতে চাইলে যে কোনো সময় বোর্ড মিটিং করে ঘোষণা দিতে পারবে এবং বার্ষিক সাধারণ সভায় তা অনুমোদনেরও সুযোগ রয়েছে।

কিন্তু অর্থ বছর নিয়ে জটিলতায় পড়েছে এমআই সিমেন্ট। এ কোম্পানির অর্থবছর হিসাব করা হয় জুন থেকে জুন পর্যন্ত। সে হিসাবে কোম্পানির ২০১০ অর্থবছরের ৯ মাস চলছে। ফলে কোম্পানিকে বোনাস শেয়ার দিতে হলে অর্থবছর পরিবর্তন করতে হবে। তবে এ কোম্পানির ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন বোনাস ঘোষণার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে ডিএসইর প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বলেন, মবিল যমুনার এখনো এজিএম হয়নি। ফলে এ কোম্পানির ক্ষেত্রে বোনাস ঘোষণার সুযোগ রয়েছে। তবে এমআই সিমেন্টের অর্থবছর এখনো শেষ হয়নি। আইনগত ভাবে এ জটিলতা কাটিয়ে উঠলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই এ কোম্পানি দুটি তালিকাভুক্ত হতে পারবে।

তিনি বলেন, প্রিমিয়াম এ্যাকাউন্ট থেকে ক্ষতিপূরণ দিলে তা আইনে গ্রহণযোগ্য হবে না। বোনাস দিলে শেয়ারের দর কিছুটা কমে আসবে। এতে লোকসান হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।

এ ব্যাপারে সিএসইর প্রেসিডেন্ট ফখরুদ্দীন আলী আহমেদ বলেন, বোনাস শেয়ারের শর্তে আসলে তালিকাভুক্তিতে স্টক এক্সচেঞ্জের আপত্তি থাকবে না। মবিল যমুনার ইজিএম করে বোনাস ঘোষণা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে আইনি প্রক্রিয়ায় অর্থবছর পরিবর্তন করে বোনাস ঘোষণা দিতে পারে এমআই সিমেন্ট।  

এদিকে এমআই সিমেন্টের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বোনাস শেয়ার দেয়ার ব্যাপারে এখনো চুড়ান্ত কোনো আলোচনা হয়নি। তবে আগে আমরা আর্থিক পর্যালোচনা অনুযায়ী এমআই সিমেন্ট অতিমূল্যায়িত হয়নি তা প্রমাণ করতে চাই। প্রসপেক্টাসে এমআই সিমেন্টের যে লাভ দেখানো হয়েছে তার চেয়েও বেশি লাভে রয়েছে কোম্পানিটি। আমরা কোম্পানির এ আর্থিক অবস্থান আবারো প্রযেকশনের মাধ্যমে তুলে ধরতে চাই।

তালিকাভুক্তিতে বিলম্ব হওয়ায় কোম্পানিদুটিতে ৭ লাখ বিনিয়োগকারীর ৯৪৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা আটকে আছে। মবিল যমুনার ৪ কোটি শেয়ারের বিপরীতে ৪ লাখ বিনিয়োগকারী লটারি পেয়েছেন। এ কোম্পানির মার্কেট লট ১০০টিতে এবং বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে।

এমআই সিমেন্টে ৩ কোটি শেয়ারের বিপরীতে ৩ লাখ বিনিয়োগকারী লটারি পেয়েছেন। এ কোম্পানির মার্কেট লট ১০০টিতে এবং বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৩৪ কোটি টাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

শর্ত নিয়ে আইনি জটিলতার কারণে গত ২৪ মার্চ মবিল যমুনা ও এমআই সিমেন্টের তালিকাভুক্তি নাকচ করে দেয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। ওই দিনই কোম্পানিদুটিকে তালিকাভুক্তির জন্য দুই সপ্তাহ সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়। মবিল যমুনার ক্ষেত্রে ৩১ মার্চ থেকে এবং এমআই সিমেন্টের ৬ এপ্রিল থেকে পরবর্তী দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘন্টা, ০৪ এপ্রিল, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।