ঢাকা: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, শেয়ার মার্কেটে তড়িৎ গতিতে মুনাফার সম্ভাবনা এবং পুঁজি হারানোর সম্ভাবনা-দুটোই স্বাভাবিক। তাই বিনিয়োগকারীদের বুঝে-শুনে বিনিয়োগ করা উচিত।
বৃহষ্পতিবার জাতীয় প্রেসকাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) আয়োজিত ‘পুঁজিবাজারের অস্থিরতা নিয়ে নাগরিক উদ্বেগ” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি পুঁজিবাজারে আস্থার পরিবেশ তৈরির প্রতিও গুরুত্ব দেন।
সুজন সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সিপিডি’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আবু আহমেদ ও অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ।
অধাপক আবু আহমেদ বলেন, শেয়ারবাজারের সঙ্গে অবশ্যই পাবলিক ইন্টারেস্ট জড়িত। তিনি বলেন, বেশিরভাগ দুর্নীতির সঙ্গে এসইসির নাম জড়িত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যাস বিভাগের অধ্যাপক সালাহউদ্দিন এসইসি‘কে দায়ী করে বলেন, এ পরিস্থিতির দুটি কারণ জড়িত আর তা হলো এক সরবরাহ ঘাটতি দুই পর্যাপ্ত মনিটরিং এর অভাব।
মূলপ্রবন্ধে ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, অর্থনীতিতে বিনিয়োগ সংকট দেখা দিয়েছে। ২০১০ সালে বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। গত ৫ বছরের মধ্যে এই প্রবৃ্িদ্ধ সবচেয়ে কম। স্বল্প ঝুঁকি ও স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফার আশায় পুঁজিবাজারে ব্যাপকহারে নতুন বিনিয়োগকারীর আগমন ঘটে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ২০১০ সালে নতুন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১৫ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৩২ লাখে দাঁড়িয়েছে। বাজারে প্রতিদিন নতুন নতুন বিনিয়োগকারী প্রবেশ করছে। এটি বাজার পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১১