ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঢাকা উইমেন চেম্বার যেন শুধু এলিট শ্রেণীর সংগঠন না হয়: বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১১

ঢাকা: নব গঠিত ‘ঢাকা উইমেন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’ যেন শুধু এলিট শ্রেণীর সংগঠন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী মুহম্মদ ফারুক খান।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও-এ ঢাকা উইমেন চেম্বারের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।



তিনি বলেন, ঢাকায় প্রায় ৫০ লাখ নারী রয়েছেন। এর মধ্যে কমপক্ষে ৫০ হাজার নারী উদ্যোক্তা আছেন যারা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর।

দেশের অর্থনীতিকে এরাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই সংগঠনের মাধ্যমে তাদের উন্নতি হলে সার্বিকভাবে দেশের উন্নয়ন হবে।

মন্ত্রী নারী উদ্যোক্তাদের প্রতি তাদের ঢাকা উইমেন চেম্বারের সদস্য করার মাধ্যমে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা আড়াইশ’/তিনশ’ থেকে কয়েক হাজারে উন্নীত করার পরামর্শ দেন।  

ঢাকা উইমেন চেম্বারের সভাপতি নাজ ফারহানা আহমেদ’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জিয়ানি ও এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নব গঠিত ঢাকা উইমেন চেম্বারের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে সরকার ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সকল প্রকার সহায়তা দেবে।

তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল-এর একটি তহবিল আছে। এই তহবিল থেকে ঢাকা উইমেন চেম্বারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া যেতে পারে।

তিনি  উইমেন চেম্বার নেত্রীদের তাদের কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন।

‘বাংলাদেশের সকল সফলতার পেছনে পুরুষ ও নারীদের সম্মিলিত অবদান আছে’ উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত দুই বছরে নারীদের উন্নয়নে ৫০টি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সরকার নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।

কিন্তু অতীতের  বিভিন্ন সরকার নারীদের দাবিয়ে রাখার পাশাপাশি দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছে।

প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, বর্তমান বিরোধী দলীয় নেত্রী বলেছেন, তারা ক্ষমতায় এলে এ সরকারের সকল কর্মকান্ড বাতিল করে দেবেন। তার এ ধরনের বক্তব্যের কারণে তিনি আগামীতে আর কখনোই ক্ষমতায় আসতে পারবেন না।  

এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, দেশে বেকারত্বের হার যেভাবে বাড়ছে সে অনুযায়ী নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। তাই কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সকল উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, গৃহকর্মে নারীর অবদানকে ধরা হলে জিডিপি-তে নারীর অংশগ্রহণ আরো বাড়বে।

ঢাকা উইমেন চেম্বার সভাপতি নাজ ফারহানা আহমেদ বলেন, এই সংগঠন নারী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা ও বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশপাশি দেশের ইতিবাচক ইমেজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কাজ করে যাবে।    

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৪৫০ ঘন্টা, ১০ মার্চ , ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।