ঢাকা: সরকারি পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে শেয়ার কেনার নির্দেশ দেওয়ার পরও থামানো যাচ্ছে না পুঁজিবাজারের দর পতন। লেনদেন হওয়া এর আগের ৪দিনও দরপতনের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা ব্রোকারেজ হাউজ ছেড়ে ডিএসইর সামনের রাস্তায় নেমে আসে। তারা বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন এবং আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ডিএসসির সামনের রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্তক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
গত রোববার পুঁজিবাজারের পতন রোধে রাষ্ট্রয়ত্ব ব্যাংক সোনালী, জনতা, রূপালী, অগ্রণী ব্যাংক ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) শেয়ার কেনার নির্দেশ দেয় সরকার।
এরপরও সোমবার দেশের দুই পুঁজিবাজারেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাম কমার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে(ডিএসই) ২২৩টি কোম্পানির লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯টির, কমেছে ২০৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টি কোম্পানির দাম। ]
একই সঙ্গে সাধারণ সূচক ২৩৯ পয়েন্ট কমে পৌঁছায় ৫ হাজার ২২৩ পয়েন্টে।
রোববারসহ এর আগের সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন ডিএসইতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখি প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও সোমবার তাও হয়নি। লেনদেনের শুরুতেই সূচক নিম্নমুখি হতে থাকে যা অব্যাহত থাকে বেলা ১১টা ২০মিনিট পর্যন্ত। এরপর সামান্য মোড় নিলেও ১১ টা ২৫ মিনিট থেকে ১১ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত টানা কমেছে।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেলা ১১ টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত ১৪৩টি কোম্পানির লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর কমেছে ১৩৮টির ও বেড়েছে মাত্র ৫টি কোম্পানির দাম।
পাশাপাশি সূচক ৩৭৪ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৫৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১১