ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

দরপতনের ধারা অব্যাহত: মূলধন কমেছে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১১
দরপতনের ধারা অব্যাহত: মূলধন কমেছে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা

ঢাকা : দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ- ডিএসইতে দরপতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবারের মতো বুধবারও সাধারণ মূল্যসূচক কমেছে।



তবে আগের দিনের তুলনায় এদিন চিত্রটা ছিল ভিন্ন। আগের দিন লেনদেন বাড়লেও বুধবার লেনদেন হয় ৩৮৯ কোটি টাকা। এতে লেনদেন ২ দশমিক ৫০ শতাংশ ও বাজার মূলধন কমেছে ৫৮৩৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ শেয়ারের দাম। তবে সারাদিনই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচকের ওঠানামা ছিল চোখে পড়ার মতো। দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের হতাশাও। অনেক ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোতে বিনিয়োগকারীদের আনাগোনা চোখে পড়েনি।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখনও ফিরে আসেনি। অনেকে বাজারে ফিরে এলেও আস্থা সংকটের কারণে নিজেদের পুঁজি খাটাতে ভয় পাচ্ছেন। এর ফলে বাজারে অস্বাভাবিক আচরণ দেখা যাচ্ছে।

বুধবার লেনদেনের শুরুতে ডিএসই সাধারণ মূল্যসূচক ১৪২ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর একাধিকবার সূচক ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দিন শেষে সূচক ১৫৪.৯০ পয়েন্ট কমে ৬০১৮.৪৮ পয়েন্টে দাঁড়ায়।

এদিন ডিএসইতে মোট ২৪৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৬টির কমেছে ১৯২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির। ডিএসইতে মোট ৫৭৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৮৯ কোটি টাকা কম। বুধবার স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ৯৬২ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

খাত অনুযায়ী বিশ্লেষণ করে দেখা যায়- ব্যাংকিং, প্রকৌশল, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ওষুধ ও বস্ত্র খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমেছে। এছাড়া সিমেন্ট, সিরামিক ও আইটি খাতের সবগুলো প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর কমেছে। টেলিযোগাযোগ খাতের একমাত্র প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ফোনের শেয়ারের দামও কমেছে।

অপরদিকে, সিএসইতে দিনের লেনদেন শেষে সূচক ৩৯৫.২০ পয়েন্ট কমে ১৬৯৬৪.৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে মোট ১৮৪টি প্রতিষ্ঠানে শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ১৪৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির। বুধবার বাজারটিতে ৭৬ কোটি  টাকার লেনদেন হয়।

ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বেক্সিমকো, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস, বেক্সটেক্স, প্রাইম ফিন্যান্স, আইডিএলসি, লঙ্কাবাংলা ফিইন্যান্স, বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স ও ব্র্যাক ব্যাংক।

সবচেয়ে বেশি বেড়েছে রেকিট বেনকিজারের শেয়ারের দাম। এ ছাড়া এশিয়া ইনস্যুরেন্স, আইডিএলসি, প্রাইম ফিন্যান্স প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড, প্রাইম ফিন্যান্স, এসিআই ফর্মুলেশন, লিব্রা ইনফিউশন, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ও আইসিবি প্রথম এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড দাম বাড়ার শীর্ষ ১০এর তালিকায় রয়েছে। এছাড়া সবচেয়ে বেশি কমেছে বিডি ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রডসের শেয়ারের দাম। এছাড়া সিএমসি কামাল, প্রাইম ইনস্যুরেন্স, ব্র্যাক ব্যাংক, তালু স্পিনিং, রহিমা ফুড, বিডি অটোকার, কাশেম ড্রাইসেল, সায়হাম টেক্সটাইল ও ইমাম বাটন দাম কমে যাওয়া শীর্ষ ১০এর তালিকায় রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় : ২০৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।