ঢাকা: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে চাঙাভাব দেখা গেছে। দাম বেড়েছে প্রায় সব শেয়ারের দাম।
রোববার বিকেল তিনটা পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাধারণ সূচক ৪৬৫ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বেড়ে ৬৩৯১ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
ওই সময় পর্যন্ত লেনদেন হওয়া ২৫৯টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫২টি এবং কমেছে ৭টির দাম।
টানা চারদিন বন্ধ থাকর পর রোববার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়।
এদিকে বাজারে চাঙাভাবের কারণে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম সার্কিট ব্রেকারে পৌঁছানোয় ওই প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। এতে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। তবে কেউ সার্কিট ব্রেকারের নিচের দামে চাইলে বিক্রি করতে পারবেন।
গত সপ্তাহের প্রথম দিকে টানা দরপতনে ডিএসইতে সাধারণ সূচক কমে পাঁচ হাজারে নেমে আসে। গত বুধবার সাধারণ সূচক ৩৪৬ পয়েন্ট বাড়লেও সূচক ছয় হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করতে পারেনি। রোববার লেনদেন শুরুর সাত মিনিটের দিকে সূচক ৩৫৭ পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ায় সূচক ছয় হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। এখনো সূচক বাড়ার এ ধারা অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে গত সোমবার দরপতনের পর ব্যাপক বিক্ষোভ করে বিনিয়োগকারীরা। মতিঝিলে সংঘর্ষ-ভাংচুরের পর আটক করা হয় অন্তত ৫০ জনকে।
গত বছর ডিসেম্বর থেকে অস্থিতিশীল হয়ে উঠে পুঁজিবাজার। বাজার স্বাভাবিক করতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এসইসি) ও সরকার বেশ কিছু পদপেও নেয়।
পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা এবং আইসিবিকে ৬০০ কোটি টাকার তহবিল দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১১