ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিএসইতে এক সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার কোটি টাকা

গোলাম সামদানী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১১
ডিএসইতে এক সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার কোটি টাকা

ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে (৩০ জানুয়ারি থেকে ৩  ফেব্রুয়ারি)  বাজার মূলধর কমেছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা।

মাত্র পাঁচ কার্যদিবসের ব্যবধানে ৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার তা ৩ লাখ ১৪ হাজার ৬১৭ কোটি টাকায় নেমে আসে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা।

অন্যদিকে গত সপ্তাহের শুরুতে রোববার ডিএসইর সাধারণ মূল্য সূচক ছিল ৭ হাজার ৩৮৫ দশমিক ৯১ পয়েন্ট। সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার তা ৭ হাজার ১২৫ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে নেমে আসে। এ সময়ের মধ্যে সাধারণ মূল্য সূচক কমেছে প্রায় ২৬০ পয়েন্ট। গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসের মধ্যে রোববার ও বুধবার বাদে বাকি দিন কার্যদিবসে সূচক কমেছে।  
গত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন, সব সূচক কমলেও আর্থিক লেনদেন বেড়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে গড় লেনদেন ছিল ৬৯৯ কোটি টাকা। অন্যদিকে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে (২৩ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি) ডিএসইতে গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬০৮ কোটি টাকা। এই সময়ে গড় লেনদেন বেড়েছে প্রায় ২৬০ কোটি টাকা।  

গত সপ্তাহে প্রথম কার্যদিবস রোবাবর সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮৭ পয়েন্ট বাড়লেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন সাধারণ মূল্যসূচক ২৯১ পয়েন্ট কমে যায়। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার সূচক ২৮ পয়েন্ট বাড়লেও শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার সূচক আবার ১৮৩ পয়েন্ট নেমে যায়।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের দরপতনের পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এখনো বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী বড় ধরনের লোকসানের থাকার কারণে শেয়ার বিক্রি করতে পারছে না।

অন্যদিকে এসইসি মার্জিন লোন রেশিও বাড়িয়ে দিলেও মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো সে অনুপাতে লোন দিচ্ছে না। ফলে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী লোকসানে যেমন শেয়ার বিক্রি করছে না। তেমনি মার্জিন লোন না পাওয়ার কারণে নতুন করে শেয়ার কিনতে পারছে না। এতে বাজারে দরপতন হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ওসমান ইমাম বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে বড় ধরনের দরপতনের পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখনো পুরোপুরি আত্মবিশ্বাস ফিরে আসেনি। এতে যে সব বিনিয়োগকারী বাজার থেকে বের হয়ে গেছে তারা আর বাজারে প্রবেশ করছে না। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এখনো বাজার পর্যবেক্ষন করছে। এতে বাজার পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে। তবে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হবার কিছু নেই।

বাংলাদেশের সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।