ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

মার্জিন লোন ও স্পট মার্কেট নীতিমালা করতে গিয়ে বিপাকে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ

গোলাম সামদানী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১১
মার্জিন লোন ও স্পট মার্কেট নীতিমালা করতে গিয়ে বিপাকে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ

ঢাকাঃ মার্জিন লোন দেওয়া, গ্রাহকের হিসাবে রক্ষিত সিকিউরিটিজের মূল্যায়ন পদ্ধতি, ও ফোর্সসেল বিষযক নীতিমালা করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ।

একইসঙ্গে এসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক উঠানামা রোধ করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ওই কোম্পানির লেনদেন স্বগিত, বন্ধ কিংবা স্পট মার্কেটে পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়েও আইনি জটিলতা দেখা দিয়েছে।



বিশেষ করে, স্টক এক্সচেঞ্জের বিধিমালা অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জ কতৃর্পক্ষ অস্বাভাবিক দাম উঠানামার কারণে কোনো কোম্পানির লেনদেন বন্ধ কিংবা স্বগিত করতে পারলেও স্পট মার্কেটে পাঠানোর এখতিয়ার স্টক এক্সচেঞ্জের নেই। কোনো কোম্পানিকে স্পট মার্কেটে লেনদেনের জন্য পাঠানোর ক্ষমতা কেবল এসইসির।

কিন্তু গত ১ ফেব্রুযারী মার্চেন্ট ব্যাংক ও দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে বৈঠক করে এসইসি এসব দায়িত্ব দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ওপর ছেড়ে দেয়।

একইসঙ্গে এসব  বিষয়ে একটি নীতিমালা করে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসইসিতে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেওযা হয়। এ বিষয়ে করনীয় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার দুই স্টক এক্সচেঞ্জ বৈঠকে বসলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।

এ বিষয়ে চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি মো. ফকরুউদ্দীন আলী আহমেদ বাংলানিউজ কে বলেন, স্টক মার্কেটের বিধিবিধান অনুযায়ী কোনো কোম্পানি আমরা হল্ট কিংবা সাসপেণ্ড করতে পারলেও স্পট মার্কেটে পাঠাতে পারি না। স্পট মার্কেটে পাঠানোর  এখতিয়ার এসইসি‘র। আর এটা করতে হলে স্টক এক্সচেঞ্জর বিধিমালা সংশোধন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জ মার্জিন লোন নির্ধারণ করে না। তারা কেবল কোম্পানির শেয়ারে বাই/সেল করে। তারপরও যেহেতু এ বিষয়ে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নীতিমালা করার, আমরা এনিয়ে কাজ করছি। তবে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগবে।
অন্যদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি মো. শাকিল রিজভী বাংলানিউজ বলেন, এসইসি নির্দেশনা অনুযায়ী এসব বিষয়ে করনীয় ঠিক করতে আমরা আজ বৈঠক করেছি। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এসব বিষয নিয়ে আরো বৈঠক করতে হবে।  
         
উল্লেখ্য এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি এসইসি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। নির্দেশে বলা হয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জ নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে ওই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন স্থগিত বা বন্ধ কিংবা স্পট মার্কেটে পাঠাতে পারবে। তবে লেনদেন স্থগিত, বন্ধ কিংবা স্পট মার্কেটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত পরে এসইসিতে জানাতে হবে।

একইসঙ্গে এসইসি ওইদিন মার্জিন লোন নির্ধারন করার দায়িত্ব মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ওপর ছেড়ে দেয়।  

এখন থেকে প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো বছরে দুইবার (১ জানুয়ারী ও ১ জুলাই) মার্জিন লোন পূর্ণ নির্ধারণ করবে। পাশাপাশি প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে ডিএসই ও সিএসই তাদের সদস্য স্টক ব্রোকারদের কাছ থেকে পূর্ববর্তী মাসের মার্জিন লোনের হিসাব বিবরনী সংগ্রহ করে এসইসিতে জমা দিবে।

অন্যদিকে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো  একই সময়ের মধ্যে এই বিবরনী সরাসরি এসইসিতে জমা দিবে। ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ ব্যাপারে ডিএসই, সিএসই ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো একটি নীতিমালা করে এসইসিতে জমা দিতে বলা হয়।

এ ব্যাপারে এসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বাজারে নির্দিষ্ট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি রোধের জন্যই এই ক্ষমতা স্টক এক্সচেঞ্জের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে এসইসি মার্জিন লোন আর নির্ধারণ করে দিবে না। বিষয়টি মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো নির্ধারণ করবে। কোন গ্রাহককে কত মার্জিন লোন দেযা হবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো।

বাংলাদেশ সময়ঃ ১৯৫০ ঘন্টা ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।